জোর করে রাশিয়ায় নেওয়া ৩১ শিশু ফিরল ইউক্রেনে

রাজিউর রাহমান | প্রকাশিত: ৯ এপ্রিল ২০২৩, ২২:৩৬

ছবি: সংগৃহীত

শনিবার (৮ এপ্রিল) সেভ ইউক্রেন নামক একটি দাতব্য সংস্থা শিশুদের ফিরে আসার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। সংস্থাটি জানিয়েছে, ফিরে আসা শিশুদের রাশিয়া অধিকৃত অঞ্চল থেকে রাশিয়ার মূল ভূখণ্ডে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। খবর: আল জাজিরার।

কিয়েভের দাবি, এ ৩০ শিশুর ফিরে আসা ছোট্ট একটি ঘটনা। কারণ, রাশিয়া অধিকৃত অঞ্চল থেকে প্রায় সাড়ে ১৯ হাজার শিশুকে রাশিয়ার মূল ভূখণ্ডে নিয়ে গিয়েছে রুশরা। তবে মস্কো কিয়েভের এসব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছে, তারা কোনো ইউক্রেনীয় শিশুকে জোরপূর্বক রাশিয়ায় নিয়ে যায়নি; বরং যুদ্ধের কঠিন পরিস্থিতি থেকে রক্ষা করতেই তাদের যুদ্ধপ্রবণ এলাকা থেকে দূরে সরিয়ে নেয়া হয়েছে।

সেভ ইউক্রেন আরও জানিয়েছে, শিশুরা এবং তাদের পরিবারের সদস্যরা নিরাপদের সীমান্ত অতিক্রম করে কিয়েভ নিয়ন্ত্রিত এলাকায় পৌঁছেছে। সংস্থাটির প্রকাশ করা এক ভিডিও থেকে দেখা গেছে, শিশুরা ব্যাগ এবং সুটকেস নিয়ে পায়ে হেঁটে সীমান্ত অতিক্রম করে এবং পরে সেখান থেকে একটি বাসে করে চলে যায়।

সেভ ইউক্রেনের প্রতিষ্ঠাতা মাইকোলা কুলেবা বলেছেন, আমাদের পঞ্চম উদ্ধার অভিযান প্রায় শেষের দিকে। আমরা বেশ কয়েকজন শিশুকে ফিরিয়ে আনতে পেরেছি এবং এর নানা জটিলতার কারণেও এটি বেশ কঠিন মিশন ছিল।

কুলেবা যেসব মা রাশিয়ায় গিয়ে লড়াই করে তাদের সন্তানদের ছাড়িয়ে এনেছেন, তাদের সাহসের প্রশংসা করেন। তিনি তাদের ‘বীরোচিত মা’ বলেও আখ্যা দেন।

কিয়েভের তথ্য অনুযায়ী, যুদ্ধ শুরুর পর প্রায় সাড়ে ১৯ হাজার শিশুকে জোর করে নেওয়া হয় রাশিয়া বা রুশনিয়ন্ত্রিত অঞ্চলে। ক্রিমিয়া, খারকিভ, খেরসনে প্রায় অর্ধশত ক্যাম্পে রাখা হয় তাদের। মস্কোর দাবি, নিরাপত্তাজনিত কারণে সরিয়ে নেওয়া হয়েছিল শিশুদের।

গত মাসে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের পাশাপাশি গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হয় দেশটির শিশু অধিকারবিষয়ক কমিশনারের বিরুদ্ধেও। শিশুদের ওপর নির্যাতনের অভিযোগ আনা হয় তাদের বিরুদ্ধে।

এদিকে, ইউক্রেনের মুসলিম সেনাদের জন্য প্রথমবারের মতো আনুষ্ঠানিক ইফতার আয়োজন করেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। শুক্রবার (৭ এপ্রিল) রাজধানী কিয়েভে মুসলিম সেনাদের সঙ্গে ইফতারে অংশগ্রহণ করেন তিনি।

 




পাঠকের মন্তব্য

মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।

Top