সুদানের রাজধানীতে বিমান হামলা, ৫ শিশুসহ নিহত ১৭

রাজিউর রেহমান | প্রকাশিত: ১৮ জুন ২০২৩, ০১:১৭

ছবি: সংগৃহীত

সুদানের রাজধানী খার্তুমের দক্ষিণাঞ্চলে বিমান হামলায় শনিবার পাঁচ শিশুসহ ১৭ জন নিহত হয়েছে। দেশটির স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ এ তথ্য জানিয়েছে। সুদানের রাজধানীর স্বাস্থ্য বিভাগ তাদের ফেসবুক পেজে একটি পোস্টে বলেছে, ‘ইয়ারমুক জেলাকে একটি বিমান হামলায় লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছে। খবর রয়টার্সের। 

প্রাথমিক অনুমানে ১৭ জন নিহত হয়েছে, যাদের মধ্যে পাঁচটি শিশু রয়েছে। বাড়ি ধ্বংস হয়েছে ২৫টি।’ আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা জানিয়েছে, সুদানের সংঘাতে এখন পর্যন্ত দেশটির ২২ লাখ বাসিন্দা দেশ ছেড়ে পালিয়েছে। যার মধ্যে ৫ লাখ ২৮ হাজার বাসিন্দা প্রতিবেশী দেশগুলোতে আশ্রয় নিয়েছেন।

মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্টের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার বলেছেন, আমেরিকা চলমান সংঘাতে সুদানে মানবাধিকার লঙ্ঘন এবং অপব্যবহার এবং ভয়াবহ সহিংসতার নিন্দা জানিয়েছেন। বিশেষ করে দেশটির পশ্চিম দারফুরে সেনাবাহিনী ও আরএসএফের জাতিগত হত্যা ও যৌন সহিংসতার নিন্দা জানায় যুক্তরাষ্ট্র।

ম্যাথিউ মিলার বলেন, তিন মাসের যুদ্ধে শুধুমাত্র পশ্চিম দারফুরের রাজধানী এল জেনেইনায় ১১০০ বেসামরিক নিহত হয়েছে। আর এই অঞ্চল থেকে ২ লাখ ৭৩ হাজারেরও বেশি বাসিন্দা বাস্তুচ্যুত হয়েছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ।

এদিকে, শনিবার স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৬টা থেকে ৭২ ঘণ্টার যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয় যুদ্ধরত পক্ষগুলো। সৌদি ও মার্কিন মধ্যস্থতাকারীরা এ কথা জানায়। সুদানে ক্ষমতা নিয়ে ভয়াবহ এই সংঘাতে নিহত মানুষের সুনির্দিষ্ট সংখ্যা পাওয়া কঠিন। তবে গোলাগুলিতে অনেক বেসামরিক নাগরিকসহ ১ হাজারেরও বেশি লোক নিহত হয়েছেন বলে মনে করা হচ্ছে।

জাতিসংঘের তথ্য অনুযায়ী, দেশটিতে প্রায় ২২ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে এবং পাঁচ লাখেরও বেশি মানুষ প্রতিবেশী দেশগুলোতে আশ্রয় নিয়েছে।

যুদ্ধ থেকে মানুষকে পালাতে দেওয়ার জন্য বেশ কয়েকটি যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করা হয়েছে, তবে এগুলো কোনো পক্ষই সঠিকভাবে মানেনি। সম্প্রতি মায়ো, ইয়ারমুক ও ম্যান্ডেলা এলাকার বেসামরিক নাগরিকদের লক্ষ্য করে হামলা চালানো হয়েছে বলে জানিয়েছে আরএসএফ। তবে সেনাবাহিনী এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি।

শত্রুতা শুরু হওয়ার পর থেকে হাজার হাজার বেসামরিক মানুষ সীমান্ত পেরিয়ে প্রতিবেশী দেশ চাদে পালিয়ে গেছে। সেখানকার চিকিৎসক ও হাসপাতালগুলো অত্যধিক চাপে পড়েছে এবং সামলাতে হিমশিম খাচ্ছে। এই সহিংসতা সুদানের পশ্চিম দারফুর অঞ্চলে দুই দশক ধরে চলা সংঘাতকে আবার সামনে এনেছে।

 




পাঠকের মন্তব্য

মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।

Top