• ** জাতীয় ** আমরা জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার হ্রাস করেছি : শেখ হাসিনা ** আবারও তিন দিনের ‘হিট অ্যালার্ট’ জারি ** চুয়াডাঙ্গায় হিট স্ট্রোকে দুই নারীর মৃত্যু ** ইউআইইউ ক্যাম্পাসে ‘কৃত্রিম বৃষ্টি’ নিয়ে তোলপাড় সারাদেশ ** সিলেটে মসজিদে যাওয়ার পথে বজ্রপাতে ইমামের মৃত্যু ** নরসিংদীতে হিট স্ট্রোকে যুবকের মৃত্যু ** সব ধরনের সংবাদ জানতে ভিজিট করুন : https://www.newsflash71.com ** সব ধরনের ভিডিও দেখতে ভিজিট করুন : youtube.com/newsflash71 ** লাইক দিন নিউজফ্ল্যাশের ফেসবুক পেইজে : fb/newsflash71bd **


এটি মানুষ ও ইকোসিস্টেমের জন্য মৃত্যুদণ্ড

ইতিহাসের সবচেয়ে বেশি গরম দিন দেখল বিশ্ব

রাজিউর রেহমান | প্রকাশিত: ৫ জুলাই ২০২৩, ২২:৪৮

ছবি: সংগৃহীত

পৃথিবীর ইতিহাসে সবচেয়ে উষ্ণ দিনের নতুন রেকর্ড তৈরি হয়েছে গেল সোমবার (৩ জুলাই)। যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল সেন্টারস ফর এনভাইরনমেন্টাল প্রেডিকশনস বলছে, আজ অবধি রেকর্ড করা সর্বোচ্চ গড় বৈশ্বিক তাপমাত্রা ছিল ওই দিনটিতে।

সংস্থাটি জানিয়েছে, গত সোমবার (৩ জুলাই) গড় বৈশ্বিক তাপমাত্রা ১৭ দশমিক ০১ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছুঁয়ে এই রেকর্ড গড়ে। এর আগের রেকর্ড ছিল ১৬ দশমিক ৯২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ২০১৬ সালের আগস্টের একদিনে এই তাপমাত্রা দেখা গিয়েছিল।

তাপমাত্রা ও আবহাওয়া পরিস্থিতির স্যাটেলাইট মনিটরিং রেকর্ড শুরু হয় ১৯৭৯ সালে। তার পর থেকে ২০২৩ সালের ৩ জুলাই ছিল সবচেয়ে উত্তপ্ত দিন। আর ২০২৩ সালের জুন মাস ছিল ইতিহাসের সবচেয়ে গরম মাস।

যুক্তরাষ্ট্রের গবেষকেরা বলছেন, ঊনবিংশ শতাব্দীর শেষ দিকে তাপমাত্রার যান্ত্রিক রেকর্ড রাখা শুরুর পর বৈশ্বিক গড় তাপমাত্রা আর এই পর্যায়ে ওঠেনি।

এল নিনো নামে পরিচিত আবহাওয়াজনিত পরিস্থিতি এবং মানুষের কর্মকাণ্ডে পরিবেশে বাড়তে থাকা কার্বন ডাই অক্সাইড গ্যাস মিলেই এই তাপমাত্রার সৃষ্টি বলে বিজ্ঞানীদের বিশ্বাস।

কয়েক সপ্তাহ ধরে যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণাঞ্চলজুড়ে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। চীনে দীর্ঘদিন ধরে দাবদাহ বিরাজ করছে, তাপমাত্রা ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ওপরে থাকছে। উত্তর আফ্রিকা ৫০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছাকাছি তাপমাত্রা দেখছে।

শীতের মৌসুম হলেও অ্যান্টার্কটিকায় বিরল উচ্চ তাপমাত্রা দেখা যাচ্ছে। এগুলোতে সম্প্রতি জুলাই মাসের তাপমাত্রা নতুন উচ্চতায় উঠে ৮ দশমিক ৭ সেলসিয়াসে দাঁড়িয়েছে।

ব্রিটেনের লন্ডন ইম্পেরিয়াল কলেজের গ্রান্থাম ইনস্টিটিউট ফর ক্লাইমেট চেঞ্জ অ্যান্ড দ্য এনভায়রনমেন্টের গবেষক ফ্রেডেরিক অটো জলবায়ুর এমন পরিস্থিতিক ভয়াবহ বলে মনে করেন। এই জলবায়ু বিজ্ঞানী রয়টার্সকে বলেন, ‘এটি মানুষ ও ইকোসিস্টেমের জন্য মৃত্যুদণ্ড।’

বার্কলে আর্থের গবেষক জেকে হাউসফাদার এক বিবৃতিতে বলেন, গ্রিনহাউস গ্যাসের ক্রমবর্ধমান নির্গমন এবং ক্রমবর্ধমান এল নিনো ইভেন্ট তাপমাত্রাকে নতুন উচ্চতায় ঠেলে দিচ্ছে।

 

 

 




পাঠকের মন্তব্য

মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।

Top