মরক্কোবাসীর ভয়ংকর দুঃস্বপ্নের রাত
মরক্কোয় ভয়াবহ ভূমিকম্পে নিহত দু’হাজার ছাড়ালো, এখন কি অবস্থা?
রায়হান রাজীব | প্রকাশিত: ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ২০:৩১
মরক্কোয় স্মরণকালের ভয়াবহ ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে দুই হাজারে। শক্তিশালী এই ভূমিকম্পে আহত হয়েছেন ২ হাজারের বেশি মানুষ।
স্থানীয় সময় শুক্রবার (৮ সেপ্টেম্বর) রাত ১১টার দিকে ভূকম্পনটি হয়। যুক্তরাষ্ট্রের ভূতত্ত্ব জরিপ সংস্থা (ইউএসজিএস) জানায়, শক্তিশালী ভূকম্পনটির মাত্রা ছিল রিখটার স্কেলে ৬ দশমিক ৮। কম্পনটির গভীরতা ছিল ১৮ দশমিক পাঁচ কিলোমিটার। ভূমিকম্পটি ২০ সেকেন্ড পর্যন্ত স্থায়ী ছিল।
অবশ্য মরক্কোর জিওফিজিক্যাল সেন্টার জানায়, হাই এটলাসের ইঘিল এলাকায় ৭ দশমিক ২ মাত্রার ভূমিকম্পটি আঘাত হানে। এছাড়া ভূমিকম্পটির ১৯ মিনিট পর আবারও ৪ দশমিক ৯ মাত্রার ভূ- কম্পন অনুভূত হয়। দুর্গম পাহাড়ি এলাকায় বেশ কিছু গ্রাম পুরোপুরি সমতল হয়ে গেছে।
সিএনএন বলছে, ভূমিকম্পে এখন পর্যন্ত নিহত হয়েছেন ২ হাজার ১২ জন। আর আহত হয়েছেন ২ হাজার ৫৯ জন মানুষ। এর মধ্যে ১৪০০ জনেরও বেশি মানুষ গুরুতর আহত হয়েছেন।
হতাহতের সংখ্যা বেশি হয়েছে মারাক্কেশের দক্ষিণের প্রদেশগুলোতে। আল-হাউজ, মারাক্কাশ, ওয়ারজাজেট, আজিলাল, চিচাউয়া এবং তারউদান্ত প্রদেশ এবং পৌরসভাগুলিতে হতাহতের সংখ্যা বেশি।
বিবিসি বলছে, বহুলোক রাস্তায় খোলা আকাশের নিচে রাত কাটাচ্ছেন। খাদ্য, পানীয়সহ একটু বিশ্রামের অভাবে দিশেহারা হাজার হাজার মানুষ। এমন পরিস্থিতিতে রাজা ষষ্ঠ মোহাম্মদ দেশটিতে তিন দিনের জাতীয় শোক ঘোষণা করেছেন এবং বেঁচে যাওয়াদের আশ্রয়, খাবার ও অন্যান্য সাহায্য দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।
ভূমিকম্পে ধসে গেছে রাবাত ও মারাক্কাশের বহু বাড়ি। ভূমিকম্পের পর পর সামাজিক মাধ্যমে ধসে যাওয়া বাড়ি, রাস্তার ছবি ও ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে।
ভিডিওতে দেখা যায়, ভূমিকম্পের ফলে অনেক ভবনের দেয়াল ফেটে গেছে। আতঙ্কে মানুষ বেরিয়ে আসেন রাস্তায়। চারিদিকে ধোঁয়ার কুণ্ডলী ছড়িয়ে পড়ে। ৫০০ বছরের মধ্যে উত্তর আফ্রিকার দেশটির ওই এলাকায় এত বড় ভূমিকম্প হয়নি। উত্তর রিফ পর্বতমালার আল হোসেইমার কাছে ২০০৪ সালের ভূমিকম্পের পর থেকে মরক্কোর সবচেয়ে মারাত্মক ভূমিকম্প এটি।
বিষয়: মরক্কোয় ভূমিকম্প নিহত আহত
পাঠকের মন্তব্য
মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।