বিশ্বের সবচেয়ে বয়স্ক জীবিত মানুষ টিনিসউড, ফাঁস দীর্ঘায়ুর রহস্য

রায়হান রাজীব | প্রকাশিত: ৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৩:৪৮

ছবি: সংগৃহীত

দক্ষিণ আমেরিকার দেশ ভেনেজুয়েলার ১১৪ বছর বয়সী নাগরিক হুয়ান ভিসেন্তে পেরেজ মোরার মৃত্যুর পর ইংল্যান্ডের ১১১ বছর বয়সী জন আলফ্রেড টিনিসউড এখন বিশ্বের সবচেয়ে বয়স্ক পুরুষ।

টাইটানিক যে বছর ডুবেছিল সে বছর অর্থাৎ ১৯১২ সালে জন্ম ভদ্রলোকের। ১১১ বছর ২২৪ দিন বয়স্ক ব্রিটিশ নাগরিক জন আলফ্রেড টিনিসউড গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসের বিবেচনায় বর্তমানে বিশ্বের সবচেয়ে বয়স্ক পুরুষ মানুষ।

গত শুক্রবার টিনিসউডকে সবচেয়ে বয়স্ক জীবিত মানুষ হিসেবে স্বীকৃতি দেয় গিনেস বুক কর্তৃপক্ষ । আগের সবচেয়ে বয়স্ক পুরুষ জুয়ান ভিসেন্তে পেরেজের মৃত্যুর বিষয়টি জানানোর দুই দিন বাদে এ ঘোষণা দিল তারা। পেরেজের ১১৫তম জন্মদিন ছিল মেতে। এসব তথ্য জানা যায় মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনের এক প্রতিবেদনে।

‘আপনি হয় দীর্ঘ সময় বাঁচবেন, নতুবা অল্প দিন। তবে এ বিষয়ে আপনার খুব বেশি কিছু করার নেই।’ আনুষ্ঠানিকভাবে সার্টিফিকেট দেওয়ার সময় গিনেস কর্তৃপক্ষকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেন টিনিসউড।

টিনিসউড বর্তমানে সাউথপোর্টের একটি কেয়ার হোমে থাকেন। তার মতে, মনকে সতেজ রাখা এবং জীবনযাত্রায় সংযম দীর্ঘ জীবনের চাবিকাঠি। সুষম ও পরিমিত আহারেই লুকিয়ে রয়েছে দীর্ঘায়ুর রহস্য বলে জানিয়েছেন টিনিসউড। 

তিনি বিশেষ কোনো ডায়েট মেনে চলেন না। তবে প্রতি শুক্রবার খাবারের তালিকায় তার অতি প্রিয় খাবার, মাছ এবং চিপস থাকেই। জীবনকে স্বাস্থ্যকর করে তোলার জন্য মাথায় কম চাপ নেওয়ার এবং মানুষের সঙ্গে প্রাণ খুলে কথা বলার পরামর্শ দিচ্ছেন টিনিসউড।

তাঁর দীর্ঘজীবনের গোপন রহস্য কী জানতে চাইলে বলেছেন, ‘শুধুমাত্র ভাগ্য’। তবে তিনি আবার একটি পরামর্শও দিয়েছেন। সেটা হলো, ‘যদি খুব বেশি পান করেন, খুব বেশি খান কিংবা বেশি হাঁটেন—অর্থাৎ কোনো কিছুই বেশি করলে এর জন্য ভুগতে হবে আপনাকে।’

ইংল্যান্ডের উত্তর-পশ্চিমের শহর লিভারপুলে ১৯১২ সালের ২৬ আগস্ট জন্ম নেন টিনিসউড। তাঁর এই দীর্ঘ জীবনকালের মধ্যেই হয়েছে দুটি বিশ্বযুদ্ধ, গ্রেট ইনফ্লুয়েঞ্জা ও করোনা মহামারি। গিনেস বুকের বিবেচনায় দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে অংশ নেওয়া সবচেয়ে বয়স্ক জীবিত পুরুষ সেনাও তিনি।

 



বিষয়:


পাঠকের মন্তব্য

মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।

Top