শুকরের কিডনি প্রতিস্থাপন করা সেই লোক বাঁচলেন না
রায়হান রাজীব | প্রকাশিত: ১২ মে ২০২৪, ১৯:৪৬
মানব শরীরে প্রথমবারের মতো সফলভাবে শুকরের কিডনি প্রতিস্থাপনের দুই মাস পর সেই রোগী মারা গেছেন। এ ঘটনাতেই যুক্তরাষ্ট্রের সাধারন মানুষের মাঝে পড়ে যায় হইচই।
এ বছরের মার্চ মাসে রিচার্ড ‘রিক’ স্লেম্যান নামের ওই ব্যক্তির শরীরে যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাসাচুসেটস জেনারেল হাসপাতালের চিকিৎসকরা জেনেটিক্যালি পরিবর্তিত শুকরের কিডনি প্রতিস্থাপন করেন। সে সময় চিকিৎসকরা জানিয়েছিলেন, এই কিডনি অন্তত দুই বছর স্থায়ী হবে। তবে দুই মাসও বাঁচলেন না স্লেম্যান।
রিকের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে এক বিবৃতি দিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। বিবৃততে তারা জানায়, কিডনি বিকল হয়েই যে তিনি মারা গেছেন, এ বিষয়ে তাদের কাছে কোনো সুনির্দিষ্ট প্রমাণ নেই। চিকিৎসা বিজ্ঞানের আধুনিকতম এই প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন করেন ম্যাসাচুসেটস জেনারেল হাসপাতালের সার্জন ওয়েইমাউথ।
রোববার (১২ মে) বার্তা সংস্থা এপি'র এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, চলতি বছরের মার্চ মাসে বিশ্বে প্রথম ব্যক্তি হিসেবে রিচার্ড রিক স্লেম্যানের শরীরে শূকরের কিডনি প্রতিস্থাপন করা হয়েছে। এরপর গত ৩ এপ্রিল তিনি ম্যাসাচুসেটস জেনারেল হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফিরেন।
ওই সময় স্লেম্যান জানিয়েছিলেন, তিনি জেনেশুনেই এই শূকরের কিডনি তার দেহে স্থাপনের অনুমতি দিয়েছিলেন। কারণ, এর ফলে তার বাঁচার সুযোগ বেড়ে গেল, আর হাজার হাজার মানুষ, যাদের অঙ্গ প্রতিস্থাপন জরুরি, তারাও এর ফলে উপকৃত হবেন।
রিচার্ড স্ল্যায়ম্যান অনেক আগে থেকে কিডনি রোগ ও টাইপ-২ ডায়াবেটিসে ভুগছিলেন। ২০১৮ সালে তার দেহে মানুষেরই একটি কিডনি প্রতিস্থাপন করা হয়েছিল। কিন্তু মাত্র ৫ বছর পর সেটি বিকল হওয়া শুরু করে। এরপর এ বছর প্রথমবারের মতো পরীক্ষামূলকভাবে তার দেহে শূকরের কিডনি প্রতিস্থাপন করা হয়।
বিষয়: শুকরের কিডনি প্রতিস্থাপন
পাঠকের মন্তব্য
মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।