ইসরাইলকে আধুনিক ইতিহাসে সবচেয়ে বড় ফ্যাসিবাদী

রাজীব রায়হান | প্রকাশিত: ২৭ জানুয়ারী ২০২৫, ১৮:২২

ছবি: সংগৃহীত

গাজার বাসিন্দারা জর্ডানে বা মিশরে চলে গেলে শান্তিতে থাকতে পারবেন বলে মনে করেছিলেন ট্রাম্প। এ বিষয়ে তিনি জর্ডান ও মিশরের সঙ্গে কথা বলবেন বলেও জানিয়েছিলেন। তবে তার এ আহ্বান প্রত্যাখ্যান করেছে হামাস।

গাজার নিয়ন্ত্রক ও ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী এই সংগঠনটি এক বিবৃতিতে ইসরাইলকে ‘আধুনিক ইতিহাসে সবচেয়ে বড় ফ্যাসিবাদী’ আখ্যা দিয়ে জানিয়েছে, নিজেদের ভূমি থেকে বিতাড়িত করার পায়তারা মেনে নেবে না তারা। খবর মিডল ইস্ট মনিটরের।

বিবৃতিতে ফিলিস্তিনি জনগণকে তাদের স্বাধীনতা অর্জনে সহায়তা করতে এবং জেরুজালেমকে রাজধানী করে স্বাধীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় কাজ করার জন্য মার্কিন প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে।

এর আগে মিশর ও জর্ডানও ট্রাম্পের এ আহ্বান প্রত্যাখ্যান করেছে। জর্ডানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, জর্ডানের বাসিন্দাদের জন্য জর্ডান আর ফিলিস্তিনের বাসিন্দাদের জন্য ফিলিস্তিন রাষ্ট্র।

শনিবার মার্কিন প্রেসিডেন্টের ব্যক্তিগত বিমান এয়ারফোর্স ওয়ানে সাংবাদিকদের এ কথা বলেছিলেন ট্রাম্প। মার্কিন সম্প্রচারমাধ্যম সিএনএনের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

তিনি বলেছেন, গাজা এখন প্রায় ধ্বংসাবশেষে পরিণত হয়েছে। সেখানে সবকিছুই ধ্বংস হয়ে গেছে। তাই, আমি চাই অন্য কোনো স্থানে তাদের (ফিলিস্তিনিদের) বাসস্থানের ব্যবস্থা করতে, যেখানে তারা হয়তো শান্তিতে বসবাস করতে পারে। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইঙ্গিত দিয়েছেন, তিনি গাজা পরিষ্কার করতে আগ্রহী।

জাতিসংঘের তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে জর্ডানে ২৩ লাখ ৯০ হাজারের বেশি নিবন্ধিত ফিলিস্তিনি শরণার্থী রয়েছেন। এ ছাড়া, বিশ্বব্যাপী প্রায় ৫৯ লাখ ফিলিস্তিনি শরণার্থী রয়েছেন। যাদের বেশির ভাগই ১৯৪৮ সালে ইসরাইল প্রতিষ্ঠার সময় সেখান থেকে পালিয়ে আসা লোকদের বংশধর।

গাজায় ইসরাইলি হামলা কেবল হাজার হাজার মানুষকেই হত্যা করেনি, গাজার অধিকাংশ অবকাঠামোই গুঁড়িয়ে দিয়েছে। জাতিসংঘের তথ্যে বলছে, ইসরাইলি বিমান হামলায় প্রায় ৬০ শতাংশ ভবন, স্কুল ও হাসপাতাল ধ্বংস হয়ে গেছে এবং প্রায় ৯২ শতাংশ ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

গাজার প্রায় ৯০ শতাংশ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন এবং অনেক বাসিন্দা বারবার স্থানান্তরিত হতে বাধ্য হয়েছেন। এমনকি কিছু কিছু মানুষ ১০ বারও স্থানান্তরিত হয়েছেন।

ট্রাম্পের এ মন্তব্য দীর্ঘদিনের মার্কিন পররাষ্ট্র নীতির সঙ্গে বিরোধপূর্ণ। কারণ, দেশটি ইসরাইল ও ফিলিস্তিনের জন্য দুই রাষ্ট্রের সমাধান প্রস্তাব করে আসছে। সূত্র: যুগান্তর




পাঠকের মন্তব্য

মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।

Top