ভারতের পশ্চিমবঙ্গের সাংবাদিক ময়ূখ রঞ্জন ঘোষ। তার সংবাদ উপস্থাপনার ধরন নিয়ে বিতর্ক রয়েছে। এটা কেবল বাংলাদেশ নয় ভারতজুড়ে। অনেক দর্শক তার উচ্চকণ্ঠ এবং অঙ্গভঙ্গিকে "মলম বিক্রেতা" কিংবা "জোকার"-এর সঙ্গে তুলনা করছেন।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তার উপস্থাপনাকে অতিরঞ্জিত এবং নাটকীয় বলে সমালোচনাও হচ্ছে অহরহ। যদিও অনেকে মনে করেন এটি কেবল মাত্র টিআরপি বাড়ানোর কৌশল। কিন্তু এই লম্ফঝম্প প্রকৃত সাংবাদিকতার মানকে ক্ষুণ্ণ করে বলে অভিযোগ রয়েছে।
হিন্দুত্ববাদী ও মৌলবাদের প্রশ্নে সেই ময়ূখ রঞ্জনের মুখোমুখি হন বাংলাদেশ অন্তর্র্বতীকালীন সরকারের প্রেস সচিব শফিকুল আলম। রাতে অনলাইনে এক প্রশ্নোত্তর পর্বে তাদের মধ্যে তীব্র আলোচনা হয়। নেটিজেনদের অধির আগ্রহ ছিল, প্রেস সচিবের সঙ্গে কতোটা চিল্লাপাল্লা আর উল্টাপাল্টা প্রশ্ন করেন ময়ূখ।
তবে এদিন ময়ূখকে বেশ শান্তই দেখা গেছে। টকশোতে ময়ূখ প্রশ্ন করেছেন সেন্ট মার্টিন বিক্রি করা নিয়ে, ঢাকার সব হোটেল-রেস্তোরাঁয় গরুর মাংস রাখা ইস্যুতে, এমনকি ডাস্টবিনে শেখ হাসিনার ছবি নিয়ে।
বিশেষ এই টকশোকে ভারত-বাংলাদেশের ম্যাচ বলে ঘোষণা দেন ময়ূখ রঞ্জন ঘোষ। আলোচনায় আসে চিন্ময় কৃষ্ণ ইস্যুও। কথা হয় শেখ হাসিনাকে নিয়ে শফিকুল আলমের একটি ফেসবুক পোস্ট নিয়েও। যেখানে শেখ হাসিনাকে পার্সন অব দ্য ইয়ার বলা হয়েছিল বলে দাবি করেন ময়ূখ।
এই উপস্থাপকের দাবি, শুধু তাকে ফলো করার জন্যই নাকি প্রধান উপদেষ্টা ড. মোহাম্মাদ ইউনূসের কার্যালয় ৫ জন স্ট্যান্ডবাই রেখে দিয়েছেন। তারা শুধু দেখেন ময়ূখ কীভাবে হাত নাড়ে, কীভাবে হাটে, কীভাবে দৌড়ায়। জবাবে প্রেস সচিব বলেন, ভারতীয় গণমাধ্যম প্রতিনিয়ত বাংলাদেশ নিয়ে মিথ্যাচার করে যাচ্ছে। সবচেয়ে বেশি করছে রিপাবলিক বাংলা।
বাংলাদেশের পরিস্থিতি সরেজমিনে দেখার জন্য ময়ূখকে দাওয়াত দেন শফিকুল আলম। এ সময় ময়ূখ বলেন, তিনি আসবেন, এসে কাচ্চি খাবেন, পায়েস খাবেন, ফিন্নি খাবেন। খেতে খেতে ড. ইউনূসের ইন্টারভিউ করবেন।
পাঠকের মন্তব্য
মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।