বুধবার, ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১৪ ফাল্গুন ১৪৩১

গাজায় যুদ্ধবিরতির দ্বিতীয় পর্যায়ের জন্য ইসরায়েলের ৪ শর্ত

Nasir Uddin | প্রকাশিত: ২৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১৫:১৬

ফাইল ছবি

গাজায় যুদ্ধবিরতির দ্বিতীয় পর্ব শুরু হতে বেশি দেরি নেই। তবে সেই পর্বে প্রবেশের আগেই ৪টি শর্ত রেখেছে ইসরায়েল। এই চার শর্ত পূরণ না হলে ২য় পর্ব শুরুর ব্যাপারটি পুরোপুরি অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়বে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন দখলদার ইসরায়েলের জ্বালানিমন্ত্রী এলি কোহেন। সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) ইসরায়েলি টিভি চ্যানেল কেএএন-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এ হুঁশিয়ারি দেন কোহেন।

কোহেন বলেন, ‘যুদ্ধবিরতির দ্বিতীয় পর্যায়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে আমাদের ৪টি শর্ত রয়েছে— ক) ৭ অক্টোবর এবং তার আগে যেসব ইসরাইলিকে গাজায় বন্দি করা হয়েছিল— তাদের সবাইকে মুক্তি দিতে হবে, খ) গাজা উপত্যকা নিয়ন্ত্রণকারী গোষ্ঠী হামাসকে গাজা থেকে বিদায় নিতে হবে, গ) গাজা উপত্যকাকে অবশ্যই সম্পূর্ণ অস্ত্রমুক্ত করতে হবে এবং ঘ) পুরো গাজা এলাকায় ইসরাইলের নিরাপত্তা সংক্রান্ত নিয়ন্ত্রণ থাকবে। ’

গত ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামলা চালিয়ে ইসরায়েলের সীমান্তে প্রবেশ করে ১ হাজার ২০০ জনকে হত্যা করে হামাস ও তার মিত্রগোষ্ঠী প্যালেস্টাইনিয়ান ইসলামিক জিহাদের যোদ্ধারা। সেই সঙ্গে ২৫১ জনকে জিম্মি হিসেবে ধরেও নিয়ে যায় তারা। বস্তুত ১৯৪৮ সালে প্রতিষ্ঠার পর এর আগে কখনও ইসরায়েলে এত বড় আকারের হামলা ঘটেনি।

অতর্কিত সেই হামলার জবাব দিতে এবং জিম্মিদের উদ্ধার করতে গাজায় অভিযান শুরু করে ইসরায়েল। প্রায় ১৫ মাস ধরে অভিযান চলার পর যুক্তরাষ্ট্রের প্রবল চাপের মুখে গত ১৯ জানুয়ারি গাজায় যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করতে বাধ্য হয় ইসরায়েল।

গাজায় সংঘাত থামাতে ২০২৪ সালের ২৩ জুন একটি তিন স্তরের যুদ্ধবিরতি চুক্তি প্রস্তাব করেছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। ১৯ জানুয়ারি থেকে মূলত সেই চুক্তিটিরই বাস্তবায়ন শুরু হয়েছে।

এই চুক্তির প্রথম পর্বের মেয়াদ ছিল ৬ সপ্তাহ। এ পর্বে ৩৩ জন জিম্মিকে মুক্তি দেবে হামাস, যেসব জিম্মিদের মুক্তি দেওয়া হবে এই পর্বে, তাদের মধ্যে বয়স্ক এবং নারীরা প্রাধান্য পাবেন।

এর বিনিময়ে গাজার জনবসতিপূর্ণ সব এলাকা থেকে সেনা প্রত্যাহার করে নেবে ইসরায়েল, কারাগারে বন্দি ফিলিস্তিনিদের মধ্যে শতাধিককে মুক্তি দেবে এবং এ ছয় সপ্তাহের প্রতিদিন গাজায় প্রবেশ করবে ত্রাণ পণ্যবাহী ৬০০টি ট্রাক।

দ্বিতীয় পর্যায়ে স্থায়ীভাবে সংঘাত শেষ হবে গাজায়। চুক্তির শর্ত অনুসারে, এ পর্যায়ে অবশিষ্ট জিম্মিদের মুক্তি দেবে হামাস এবং বিনিময়ে বিভিন্ন কারাগারে বন্দি ফিলিস্তিনিদের মধ্যে ১ হাজার জনকে মুক্তি দেবে ইসরায়েল এবং উপত্যকা থেকে ইসরায়েলি সেনাদের সম্পূর্ণ প্রত্যাহার করে নেওয়া হবে।

আর তৃতীয় পর্যায়ে যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজা উপত্যকাকে পুনর্গঠনের কাজ শুরু হবে।

তবে চুক্তিতে এ-ও উল্লেখ ছিল যে যতদিন দ্বিতীয় পর্যায় শুরু না হয়, ততদেন প্রথম পর্যায় অব্যাহত থাকবে।

সূত্র : আনাদোলু এজেন্সি




পাঠকের মন্তব্য

মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।

Top