বাংলাদেশ থেকে চীনে ভ্রমণ সহজ ও আকর্ষণীয় হয়ে উঠেছে
বিনোদন ডেস্ক | প্রকাশিত: ১২ নভেম্বর ২০২৫, ১৫:৫৭
বিশ্বের তৃতীয় বা চতুর্থ বৃহত্তম রাষ্ট্র চীনে ভ্রমণের প্রতি বাংলাদেশিদের আগ্রহ দিনদিন বাড়ছে। চীনের বিস্তীর্ণ আয়তন এবং প্রাকৃতিক সৌন্দর্য পর্যটকদের আকৃষ্ট করছে। বাংলাদেশ থেকে চীনে পৌঁছানো যায় বিভিন্ন রুটে, যেখানে সরাসরি ফ্লাইটে সর্বনিম্ন সময় লাগে দুই থেকে আড়াই ঘন্টা। টিকেটের ভাড়া অবস্থান ও সময় অনুসারে প্রায় ৪০ থেকে ৬০ হাজার টাকা পর্যন্ত পরিবর্তিত হয়।
সম্প্রতি চীনা সরকার ৪৫টি দেশের নাগরিকদের জন্য একতরফা ভিসা মুক্ত প্রবেশের নীতি আগামী ৩১ ডিসেম্বর ২০২৬ পর্যন্ত বাড়িয়েছে। এই ব্যবস্থার ফলে ভিসা প্রক্রিয়ার ঝামেলা অনেকাংশে কমেছে। বাংলাদেশ থেকে চীনে যাওয়ার জন্য সাধারণত ৬ মাসের মেয়াদ বিশিষ্ট পাসপোর্ট, দুটি ফাঁকা পেজ, ছবি, ফ্লাইট এবং হোটেল রিজার্ভেশন, ব্যাংক স্টেটমেন্ট, চাকরি বা ব্যবসার প্রমাণপত্রসহ বিভিন্ন নথি জমা দিতে হয়। ভিসা প্রক্রিয়া সাধারণত ৪ থেকে ৭ কর্মদিবসে সম্পন্ন হয়।
চীনের পর্যটন আকর্ষণগুলোর মধ্যে অন্যতম:
লি নদী: স্বচ্ছ পানি, পাহাড়, বন ও চাষাবাদ পর্যটকদের মুগ্ধ করে।
জায়ান্ট পান্ডা হুমটাউন, চেংদু: ৮০টিরও বেশি পান্ডা খুব কাছ থেকে দেখা যায়।
দ্যা টেরাকোটা আর্মি: সাংহাই শহরের প্রান্তে খননকৃত প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন।
নিষিদ্ধ নগরী, বেইজিং: ৯৮০টি ভবন, ৯৯৯৯টি কক্ষ নিয়ে বিশ্বের ঐতিহ্যবাহী প্রাসাদ।
মহাপ্রাচীর: ২১,১৯৬ কিমি দীর্ঘ, পৃথিবীর সপ্তাশ্চর্যের মধ্যে অন্যতম।
পোতালা প্রাসাদ, লাসা: তিব্বতের আধ্যাত্মিক গুরু দালাই লামার প্রাসাদ।
রেইনবো মাউন্টেইন: বিভিন্ন রঙের পাহাড়, ভূতাত্ত্বিক সৌন্দর্যের এক অপূর্ব নিদর্শন।
স্টোন ফরেস্ট, ইউনান: পাথরের গাছ ও সবুজ গাছের এক অনন্য দৃশ্য।
ওয়েস্ট লেক, হংজৌ: হ্রদের পাশে নৌকায় ভ্রমণ ও সাইকেল যাত্রার জন্য পরিচিত।
হুয়াংশন, হলুদ পাহাড়: ১০৮৬৪ মিটার উঁচু প্রাকৃতিক দৃশ্য ও ঐতিহ্যবাহী পাহাড়ি বন।
চীন তার রহস্য, আধ্যাত্মিকতা, ঐতিহ্য এবং অপার সৌন্দর্যের জন্য বিশ্বব্যাপী পরিচিত। একবার হলেও এই দেশটি দর্শন করলে পর্যটকরা মুগ্ধ হয়।
এনএফ৭১/ওতু
বিষয়:

পাঠকের মন্তব্য
মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।