গ্রামীণ বাংলার অপরূপ সৌন্দর্য

হলুদে ছেয়ে গেছে মাঠের পর মাঠ

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ১৯ জানুয়ারী ২০২৩, ০৪:৩১

সরিষার মাঠ

যত দূর চোখ যায় হলুদের সমারোহ। যেন হলুদ শাড়ি পরে সেজেছে গ্রাম বাংলার সরিষার মাঠ। শৈলকুপা উপজেলায় সরিষার ব্যাপক আবাদ হয়েছে। এবার বাম্পার ফলনের আশা করছেন কৃষকেরা। মাঠের পর মাঠ সরিষার খেত। উপজেলাজুড়ে উচ্চফলনশীল বারি সরিষা ১৪, ১৭ ও বিনা-৯সহ বিভিন্ন প্রজাতির সরিষার আবাদ হয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় সতেজ হয়ে উঠেছে সরিষার খেত। অধিকাংশ সরিষাখেতে ফুল ফুটেছে। বীজও আসতে শুরু করেছে। এতে বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা দেখছেন চাষিরা। লাভের আশায় তাঁদের মুখে এখন হাসি।

এই এলাকার কৃষকের কাছে বছরের দ্বিতীয় প্রধান ফসল হিসেবে আবাদ হয় সরিষা। সরিষা আবাদে কম খরচে বেশি ফলন হয়। বিঘাপ্রতি পাঁচ-ছয় মণ সরিষা উৎপাদন হয়। স্থানীয় কৃষকেরা জানিয়েছেন এক মণ সরিষা ১ হাজার ৬০০ টাকা থেকে ১ হাজার ৭০০ টাকায় বিক্রি হয়।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. আনিসুজ্জামান বলেন, উপজেলায় গত বছর সরিষা চাষ হয়েছিল ২ হাজার ৭০০ হেক্টর জমিতে। এ বছর চাষ হয়েছে ৩ হাজার ১১৭ হেক্টর জমিতে।

আরও পড়ুন : ইউক্রেনে হেলিকপ্টার বিধ্বস্তে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীসহ নিহত ১৬

তিনি আরোও বলেন, এবার উপজেলায় বিগত বছরের তুলনায় বেশি পরিমাণ জমিতে সরিষার চাষ হয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় সরিষা ভালো হয়েছে। এ ছাড়া কৃষকদের যথাযথ পরামর্শ ও পরিচর্যার বিষয়ে দিকনির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। প্রাকৃতিক দুর্যোগে কোনো প্রকার ক্ষতি না হলে উপজেলায় সরিষা আবাদের বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে।

এ বিষয়ে উপজেলার উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা কনোজ বিশ্বাস বলেন, ‘সরিষার চাষে খরচ কম, লাভ বেশি। এ ছাড়া সহজেই বিক্রি করা যায়। সরিষা ঘরে তোলার পর ওই জমিতেই আবার কম সারে বোরো ধানের চাষ করা যায়। এবার সরিষার বাম্পার ফলন হবে।’




পাঠকের মন্তব্য

মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।

Top