বৃহঃস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

চট্টগ্রামে লক্ষ্যমাত্রার দ্বিগুণ সরিষা চাষ

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ২৮ জানুয়ারী ২০২৩, ০৫:৩৮

সরিষা চাষ

ভোজ্যতেলের চাহিদা মেটাতে সারা দেশে সরিষা আবাদে ঝুঁকেছেন কৃষকরা। এরই ধারাবাহিকতায় এ বছর চট্টগ্রামে লক্ষ্যমাত্রার দ্বিগুণ সরিষা আবাদ হয়েছে। ‘সরিষা চাষে অল্প পুঁজিতে বেশি লাভ। এ কারণে জেলায় সরিষা চাষ বেড়েছে। ভোজ্যতেলের চাহিদা মেটাতে সরিষা আবাদে জোর দিয়েছেন কৃষকরা।’

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের কর্মকর্তারা বলছেন, এক বছর আগেও চট্টগ্রামে এক হাজার হেক্টরের কম জমিতে সরিষা চাষ হয়েছিল। এবার তা বেড়ে দুই হাজার ৩৪২ হেক্টরে দাঁড়িয়েছে। সরিষা চাষিদের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে বিনামূল্যে বীজ। ভালো ফলনের আশা করছেন কৃষি কর্মকর্তারা।

আরও পড়ুন : ঘরের মাঠে ৯২ রানেই অলআউট সিলেট

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর সূত্র জানায়, চলতি বছর চট্টগ্রামে এক হাজার ৩৬০ হেক্টর জমিতে সরিষা চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল। তবে লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে দুই হাজার ৩৪২ হেক্টর জমিতে চাষাবাদ হয়েছে। এর মধ্যে মীরসরাইয়ে ৮০ হেক্টরের লক্ষ্যমাত্রা থাকলেও চাষাবাদ হয়েছে ৩২০ হেক্টর। এছাড়া সীতাকুণ্ডে ১৭০, ফটিকছড়িতে ২৫২, হাটহাজারীতে ৪৪২, রাউজানে ৩৭৫, রাঙ্গুনিয়ায় ২২০, বোয়ালখালীতে ৫০, পটিয়ায় ৭২, কর্ণফুলীতে ১০, আনোয়ারায় ৯২, চন্দনাইশে ৫২, লোহাগাড়ায় ৯২, সাতকানিয়ায় ১০৮, বাঁশখালীতে ২৫, সন্দ্বীপে ৬০, পাঁচলাইশে এক ও পতেঙ্গায় এক হেক্টর জমিতে সরিষা চাষ হয়েছে।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা এমরান হোসাইন বলেন, ‘গত বছরের তুলনায় এবার রাউজানে তিনগুণ সরিষা আবাদ হয়েছে। ফলনও হয়েছে ভালো। উপজেলার এক হাজার ৮০০ কৃষককে বিনামূল্যে বীজ দেওয়া হয়েছে। এর পাশাপাশি অনেকে নিজস্ব বীজ চাষাবাদ করেছেন। এজন্য গত বছরের তুলনায় দ্বিগুণ সরিষা আবাদ হয়েছে।’

শতক প্রতি আট কেজি সরিষা পাওয়া যাবে জানিয়ে এই কৃষি কর্মকর্তা আরও বলেন, ‘৭৫ থেকে ৮০ দিনের মধ্যে সরিষার ফলন ঘরে তোলা যায়। সে হিসাবে রাউজানে ১৫ ফেব্রুয়ারির পর থেকে সরিষার ফলন উঠতে শুরু করবে। ফেব্রুয়ারির শেষের দিকে ফলন তোলা শেষ হবে। উপজেলায় তেল উৎপাদনের জন্য দুটি ঘানি রয়েছে। তেল উৎপাদনের পর সরিষার খৈল বিক্রি করা যাবে। এতে কম পুঁজিতে লাভবান হবেন কৃষকরা।’




পাঠকের মন্তব্য

মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।

Top