• ** জাতীয় ** আমরা জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার হ্রাস করেছি : শেখ হাসিনা ** আবারও তিন দিনের ‘হিট অ্যালার্ট’ জারি ** চুয়াডাঙ্গায় হিট স্ট্রোকে দুই নারীর মৃত্যু ** ইউআইইউ ক্যাম্পাসে ‘কৃত্রিম বৃষ্টি’ নিয়ে তোলপাড় সারাদেশ ** সিলেটে মসজিদে যাওয়ার পথে বজ্রপাতে ইমামের মৃত্যু ** নরসিংদীতে হিট স্ট্রোকে যুবকের মৃত্যু ** সব ধরনের সংবাদ জানতে ভিজিট করুন : https://www.newsflash71.com ** সব ধরনের ভিডিও দেখতে ভিজিট করুন : youtube.com/newsflash71 ** লাইক দিন নিউজফ্ল্যাশের ফেসবুক পেইজে : fb/newsflash71bd **


সূর্যমুখী ফুলের অপরূপ দৃশ্য

যমুনার বুকে সূর্যের হাসি

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ২৬ জানুয়ারী ২০২৩, ০৫:০৩

সূর্যমুখী ফুল

গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলায় যমুনার বিস্তীর্ণ বালুচরে সূর্যমুখী ফুলের অপরূপ দৃশ্য মুগ্ধতা ছড়াচ্ছে। উপজেলার হাসিলকান্দি গ্রামের চরজুড়ে এখন শোভা পাচ্ছে ফুটন্ত ‘সূর্যমুখী’ ফুল। দিগন্তজুড়ে সূর্যমুখী ফুলের হাসি চোখে শান্তির পরশ বুলিয়ে দেয়। এ ফুল দেখতে নানা বয়সী সৌন্দর্যপিপাসু মানুষ প্রায় প্রতিদিন ভিড় করছেন।

উপজেলার হাসিলকান্দি গ্রামের কৃষক আলতাফ হোসেন সরকার (৭০) একসময় একটি কলেজের অধ্যক্ষ ছিলেন। অবসর নেওয়ার পর চরের জমিতে কৃষিকাজ শুরু করেন। একদিন পত্রিকায় সূর্যমুখীর তেলের পুষ্টিগুণ ও ফলন দেখে গত বছর কৃষি কর্মকর্তার সঙ্গে যোগাযোগ করে ৩ বিঘা জমিতে চাষ করে ভালো ফলন পান। দ্বিতীয়বারের মতো এবার সূর্যমুখী চাষ করে কাঙ্ক্ষিত ফলন পেয়ে খুশি তিনি। মাটি ও আবহাওয়া এ ফুল চাষাবাদের জন্য উপযোগী হওয়ায় কম সময় ও অর্থ ব্যয় করে সূর্যমুখী চাষ করে লাভবান হওয়ার অপার সম্ভাবনায় দিন দিন চওড়া হচ্ছে চাষির মুখের হাসি।

আরো পড়ুন : সর্বোচ্চ খাদ্যের মজুত রয়েছে: খাদ্যমন্ত্রী

তিনি এবারও ৫ বিঘা জমিতে সূর্যমুখী চাষ করেন। এতে তার খরচ হয়েছে প্রায় ৬০ হাজার টাকা। এবার সূর্যমুখীর ফলন আরও ভালো হয়েছে। সূর্যমুখী বীজ বিক্রি করে খরচ বাদ দিয়ে প্রায় দেড় লাখ টাকা লাভের স্বপ্ন দেখছেন আলতাফ হোসেন সরকার।

গাইবান্ধা কৃষি গবেষণা বিভাগ জানায়, চলতি মৌসুমে আলতাফ হোসেনের ৫ বিঘা জমিসহ চরে ২০ বিঘা জমিতে সূর্যমুখী চাষ হয়েছে। চাষের ক্ষেত্রে প্রতি বিঘা জমিতে ১ কেজি বীজ বুনতে হয়। দেড় ফুট দূরত্বে একটি করে বীজ বপন করতে হয়। সারির দূরত্ব রাখতে হয় দেড় ফুট। মাত্র ৮৫-৯০ দিনের মধ্যে বীজ বপন থেকে শুরু করে উৎপাদন করা সম্ভব। প্রতি বিঘা জমিতে সব খরচ বাদ দিয়ে ১৫-২০ হাজার টাকা আয় হয়।

গাইবান্ধা কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. আব্দুল্যাহ আল মাহমুদ বলেন, ‘নতুন উদ্ভাবিত সূর্যমুখী উচ্চ ফলনশীল ও বেশি লাভজনক। কম সময়ে কম পরিশ্রমে উৎপাদন ও ভালো দাম পাওয়া যায়। সয়াবিন তেলের চেয়ে বেশি পুষ্টিগুণসমৃদ্ধ, স্বাস্থ্যসম্মত এবং রোগ প্রতিরোধক হিসেবে কাজ করে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এবারের ফলন দেখে আগামীতে চাষের প্রতি আগ্রহ আরও বাড়বে।’




পাঠকের মন্তব্য

মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।

Top