চিকিৎসার জন্য ৭ জানুয়ারি লন্ডন যাচ্ছেন খালেদা জিয়া

Nasir Uddin | প্রকাশিত: ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৪:২৬

বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া

উন্নত চিকিৎসার জন্য আগামী সত জানুয়ারি লন্ডন যাচ্ছেন বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া। বুধবার (২৫ ডিসেম্বর) খালেদা জিয়ার সফরসঙ্গী ডক্টর এনামুল হক চৌধুরী জানান, ৭ জানুয়ারি লন্ডন যাচ্ছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। আপাতত সেখানেই চলবে চিকিৎসা।

৭৯ বছর বয়সী বেগম খালেদা জিয়া আর্থ্রাইটিস, হৃদ্‌রোগ, ফুসফুস, লিভার, কিডনি, ডায়াবেটিসসহ নানা জটিলতায় ভুগছেন। অনেক দিন ধরেই দল ও পরিবারের পক্ষ থেকে তাকে বিদেশে নিয়ে চিকিৎসা করানোর দাবি করা হচ্ছে। কিন্তু আইনী জটিলতার কথা বলেই বিগত আওয়ামী লীগ সরকার প্রতিবারই বিএনপির সেই দাবি নাকচ করে দিয়েছে। পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে এবার অসুস্থ খালেদা জিয়া চিকিৎসার জন্য বিদেশে যাচ্ছেন।

বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাতজন চিকিৎসকসহ ১৫ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল যাবেন। তাদের ম্যেধ রয়েছেন—বেগম জিয়ার প্রয়াত ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকোর স্ত্রী সৈয়দা শর্মিলা রহমান, বিএনপির চেয়ারপারসনের ব্যক্তিগত চিকিৎসক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন, ডা. মো. এনামুল হক চৌধুরী, তাবিদ মোহাম্মদ আওয়াল, ফখরুদ্দীন মোহাম্মদ সিদ্দিক, মো. শাহাবুদ্দীন তালুকদার, নুরুদ্দীন আহমাদ, মো. জাকির ইকবাল, মোহাম্মদ আল মামুন, শরিফা করিম স্বর্ণা, চেয়ারপারসনের ব্যক্তিগত কর্মকর্তা এবিএম আব্দুস সাত্তার, মো. মাসুদুর রহমান, এসএম পারভেজ, ফাতেমা বেগম এবং রুপা শিকদার।

গত বছরের ৯ আগস্ট খালেদা জিয়াকে ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। সে সময় উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে বিদেশে নিতে তার পরিবার থেকে সরকারের কাছে আবেদন করা হলেও অনুমতি পাওয়া যায়নি। পরে যুক্তরাষ্ট্র থেকে তিনজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক এনে লিভার সিরোসিসে আক্রান্ত বিএনপির চেয়ারপারসনের রক্তনালিতে অস্ত্রোপচার করা হয় ২৭ অক্টোবর। তার স্বাস্থ্য কিছুটা স্থিতিশীল হলে সে দফায় পাঁচ মাসের বেশি সময় চিকিৎসা শেষে চলতি বছরের ১১ জানুয়ারি তিনি বাসায় ফেরেন।

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া দুর্নীতির দুই মামলায় সাজা পেয়ে ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি কারাবন্দি হন। দুই বছরের বেশি সময় তিনি কারাবন্দি ছিলেন। পরিবারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সরকার এক নির্বাহী আদেশে খালেদা জিয়ার সাজা ২০২০ সালের ২৫ মার্চ স্থগিত করে তাকে শর্ত সাপেক্ষে মুক্তি দেয়। তখন থেকে ছয় মাস পরপর মুক্তির মেয়াদ বাড়াচ্ছে সরকার। তবে ক্ষমতার পালাবদলের পর অন্তর্বতী সরকার দুর্নীতির মামলা থেকে অব্যাহতি দিয়েছে।

 




পাঠকের মন্তব্য

মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।

Top