বৃহঃস্পতিবার, ৯ জানুয়ারি ২০২৫, ২৬ পৌষ ১৪৩১

লন্ডন ক্লিনিক হাসপাতালে ভর্তি খালেদা জিয়া

Nasir Uddin | প্রকাশিত: ৮ জানুয়ারী ২০২৫, ১৮:৫২

লন্ডন ক্লিনিকে খালেদা জিয়া

উন্নত চিকিৎসার জন্য লন্ডন ক্লিনিক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বিএনপি চেয়ারপার্সন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে। হিথ্রো বিমানবন্দর থেকে নিজে গাড়ি চালিয়ে মা খালেদা জিয়াকে নিয়ে লন্ডন ক্লিনিকে নিয়ে যান বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। এর আগে বুধবার (৮ জানুয়ারি) স্থানীয় সময় সকাল ৮টা ৫৯ মিনিটে বিএনপি চেয়ারপারসনকে বহনকারী এয়ার অ্যাম্বুলেন্স লন্ডনের হিথ্রো আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে।

সেখানে খালেদা জিয়াকে স্বাগত জানাতে তার বড় ছেলে তারেক রহমান ও পুত্রবধূ জুবাইদা রহমান বিমানবন্দরে উপস্থিত হন।

দীর্ঘ সাত বছর পর মায়ের সঙ্গে দেখা হবে, সেই মুহূর্তের অপেক্ষায় ছিলেন তারেক রহমান। ছিলেন অনেক হাস্যোজ্জ্বল।দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান ঘটিয়ে অবশেষে মাকে কাছে পেলেন তিনি। বিমানবন্দরে মাকে দেখেই কাছে গিয়ে জড়িয়ে ধরেন তারেক রহমান। মা-ছেলের এ মধুর মুহূর্ত এক আবেগঘন পরিবেশ তৈরি করে। দীর্ঘদিন পর শাশুড়িকে পেয়ে আবেগাপ্লুত পুত্রবধূ জোবাইদা রহমানও। তিনিও শাশুড়িকে জড়িয়ে ধরেন।

বিএনপির চেয়ারপারসন সর্বশেষ ২০১৭ সালের ১৫ জুলাই লন্ডন সফরে এসেছিলেন। এরপর তার আর কোনো বিদেশ সফর হয়নি। এই সময়ের মধ্যে তার সঙ্গে ছেলে তারেক রহমানেরও সরাসরি দেখা হয়নি।

এদিকে খালেদা জিয়াকে স্বাগত জানাতে বিমানবন্দরে যুক্তরাজ্য বিএনপির সভাপতি এম এ মালেক ও সাধারণ সম্পাদক কয়সর এম আহমদসহ অনেক নেতা-কর্মী উপস্থিত হন।

এদিকে ইমিগ্রেশন কার্যক্রম শেষ করে বিমানবন্দরের চতুর্থ টার্মিনালের রয়্যাল ভিভিআইপি গেট দিয়ে বের হয়ে অ্যাম্বুলেন্সে করে খালেদা জিয়াকে সরাসরি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তাকে ‘লন্ডন ক্লিনিকে’ ভর্তি করা হয়। সেখানে কিছুদিন চিকিৎসার পর যুক্তরাষ্ট্রের মেরিল্যান্ডের জনস হপকিনস বিশ্ববিদ্যালয় হসপিটালে তাঁর চিকিৎসা নেওয়ার কথা রয়েছে তাকে।

এর আগে মঙ্গলবার রাত ১১টা ৪৬ মিনিটে ঢাকার শাহজালাল বিমানবন্দরের ভিআইপি টার্মিনাল থেকে বিএনপি চেয়ারপারসনকে বহনকারী উড়োজাহাজটি লন্ডনের উদ্দেশে উড়াল দেয়। মাঝপথে কাতারের দোহায় বিরতি নেয় এই ‘বিশেষ এয়ার অ্যাম্বুলেন্স’।

সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন ধরে লিভার সিরোসিস, কিডনি, হার্ট, ডায়াবেটিস, আর্থ্রাইটিসসহ বিভিন্ন জটিল রোগে ভুগছেন। ২০১৮ সালে দুর্নীতির মামলায় কারাবন্দী হওয়ার পর তার শারীরিক অবস্থা আরো অবনতির দিকে যায়।

 




পাঠকের মন্তব্য

মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।

Top