সোমবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৫, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩২

ঢাবির শিক্ষার্থী সুমি খাতুনের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার

নিউজফ্ল্যাশ ডেস্ক | প্রকাশিত: ২৪ নভেম্বর ২০২৫, ১৫:৩২

ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সংস্কৃত বিভাগের ২০১৮-১৯ সেশনের শিক্ষার্থী মোছা. সুমি খাতুনের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। সোমবার (২৪ নভেম্বর) ভোর রাতে কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার আমবাড়িয়া এলাকায় নিজ বাড়ি থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

সুমি খাতুন গোলাপ রহমানের মেয়ে এবং তিনি দীর্ঘদিন ধরে বিরল রোগ ফাইব্রাস ডিসপ্লেশিয়াসহ গুরুতর শারীরিক জটিলতায় ভুগছিলেন। এ রোগের কারণে তার হাড় ক্ষয় হয়ে যায় এবং একাধিক অস্ত্রোপচার করেও অবস্থার উন্নতি হয়নি। তীব্র ব্যথা, চলাফেরার সীমাবদ্ধতা ও শারীরিক দুর্বলতার কারণে তিনি মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছিলেন বলে জানিয়েছেন সহপাঠীরা।

মৃত্যুর আগে সুমি তার ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দেন ‘SORRY 2 ME…’। যার ব্যাখ্যায় সহপাঠীরা বলছেন, এটি নিজের প্রতি গভীর হতাশা ও অসহায়ত্ব প্রকাশের ইঙ্গিত।

সোমবার ভোররাতে ফজরের নামাজের আগে সুমির বাবা-মা তার কক্ষে গিয়ে ঝুলন্ত অবস্থায় তাকে দেখতে পান। পরে তারা রশি কেটে নামান এবং পুলিশকে খবর দেন। পুলিশ সকালে ঘটনাস্থলে এসে সুমির রোগ সংক্রান্ত চিকিৎসা নথি পর্যালোচনা করে এবং তার বাবাকে থানায় নিয়ে যায়। বাদ যোহর জানাজা শেষে তাকে দাফন করা হবে বলে পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সংস্কৃত বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. অসীম সরকার বলেন,“মেয়েটি খুবই মেধাবী ও শান্ত স্বভাবের ছিল। অসুস্থতার কারণে তাকে এক বছর পড়াশোনা থেকে বিরত থাকতে হয়েছিল। তার এভাবে চলে যাওয়া আমরা কোনোভাবেই মেনে নিতে পারছি না। বিভাগ শোকাহত। এমন পরিস্থিতি যেন আর কোনো শিক্ষার্থীর জীবনে না আসে।”

এ বিষয়ে মিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম বলেন, “সুমি নামে ঢাবির একজন শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করেছেন। ঘটনাস্থলে গিয়ে আমরা ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছি। ঘটনার বিস্তারিত খতিয়ে দেখা হচ্ছে।”

মানসিক স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দীর্ঘ-মেয়াদী শারীরিক ব্যথা, চিকিৎসার অনিশ্চয়তা এবং একাকিত্ব মানসিকভাবে ভেঙে পড়ার কারণ হতে পারে। এমন পরিস্থিতিতে পরিবার, বন্ধু, শিক্ষকসহ আশেপাশের মানুষের নিয়মিত মানসিক সহায়তা অত্যন্ত জরুরি।



বিষয়:


পাঠকের মন্তব্য

মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।

Top