ভাসানচর নিয়ে রোহিঙ্গা নেতাদের সন্তোষ, তবে…
ডেস্ক রিপোর্ট | প্রকাশিত: ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২০, ১৬:১১
কক্সবাজার থেকে:
কক্সবাজারের উখিয়া-টেকনাফের ঘিঞ্জি শরণার্থী শিবির থেকে এক লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থীকে নোয়াখালীর ভাসানচরে স্থানান্তর করার উদ্যোগ নিয়েছে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে সেখানে অবকাঠামো নির্মাণসহ যাবতীয় আয়োজনও সম্পন্ন করা হয়েছে।
সেনাবাহিনীর মধ্যস্থতায় গত ৫ সেপ্টেম্বর কক্সবাজারের উখিয়া-টেকনাফ থেকে দুই নারীসহ ৪০ জন রোহিঙ্গা প্রতিনিধিকে ভাসানচরে নিয়ে যাওয়া হয়। সঙ্গে নৌবাহিনী ও পুলিশের প্রতিনিধি, আরআরআরসি কার্যালয়ের কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন।
সেখানে তারা দুইদিন অবস্থান করেন। এসময় নবনির্মিত খাদ্য গুদাম, থাকার ঘর, আশ্রয় সেন্টার, মসজিদ, স্বাস্থ্যকেন্দ্র, স্কুল, খেলার মাঠ, কবরস্থান ও মাছ চাষের পুকুরসহ দ্বীপটির অবকাঠামো বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা দেখানো হয়।
পরিদর্শনশেষে গত ৮ সেপ্টেম্বর কক্সবাজারের শরণার্থী শিবিরে পৌঁছেন তারা। এসময় তারা ভাসানচরের পরিবেশ এবং মাছ চাষসহ জীবিকা নির্বাহের সুযোগ সুবিধা নিয়ে সন্তোষ জানান। তবে চরটি সাগরের মাঝে বিচ্ছিন্ন দ্বীপে হওয়ায় যোগাযোগ ব্যবস্থাসহ প্রাকৃতিক দূর্যোগসহ কয়েকটি বিষয় নিয়ে স্থানীয়দের সাথে কথা বললে বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়।
ভাসানচর ঘুরে আসা রোহিঙ্গা নেতারা বলছেন, তারা ক্যাম্পে ফিরে সাধারণ রোহিঙ্গাদের কাছে ভাসানচরের সার্বিক পরিস্থিতির কথা জানিয়েছেন। সেখানে যাওয়া-না যাওয়া এখন তাদের বিষয়।
রোহিঙ্গা নেতারা চরটিতে গড়ে তোলা বিভিন্ন প্রকারের সবজির বাগান এবং সাগরের তীরে কেওড়া বাগান দেখে সন্তোষ জানান। সেখান থেকে ফেরার আগের দিন সন্ধ্যায় তাদেরকে ব্রিফিং করা হয়। যাতে কক্সবাজারে ফিরে গিয়ে যা যা দেখছেন তা সঠিকভাবে উপস্থাপন করেন।
এনএফ৭১/এমকে/২০২০
বিষয়:
পাঠকের মন্তব্য
মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।