বড়পুকুরিয়া কয়লা খনির কয়লা উৎপাদন বন্ধ

দিনাজপুরের পার্বতীপুর থেকে | প্রকাশিত: ২৯ জুলাই ২০২১, ০৫:৩১

বড়পুকুরিয়া কয়লা খনির কয়লা উৎপাদন বন্ধ

বড়পুকুরিয়া কয়লা খনির চীনা ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হওয়ায় এবং স্থানীয় কতিপয় শ্রমিক করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ায় তাদের কোরান্টাইনে থাকার জন্য ছুটি দেয়ায় খনিতে কয়লা উত্তোলন বন্ধ রয়েছে।

জানা যায়, দিনাজপুরের পার্বতীপুরস্থ বড়পুকুরিয়া কয়লা খনিতে স্থানীয় ৫শ’ শ্রমিক কাজ করনে। এদের মধ্যে ২৬ জন শ্রমিক করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়। সকল শ্রমিক এক সাথে অবস্থান করায় তাদের মধ্যে করোনা আক্রান্তের সম্ভাবনা রয়েছে।

এ কারনে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সকল শ্রমিকদের ছুটি দেয় এবং কোরান্টাইনে থাকতে বলে। ফলে শ্রমিকরা খনি থেকে বের হয়ে এলে ২ জুলাই থেকে কয়লা উৎপাদন পুরোদমে বন্ধ হয়ে যায়।

স্থানীয় খনি শ্রমিকরা জানান, ২৫ জুলাই সকালে শ্রমিকরা খনিতে কাজে যোগ দিতে গেলেও কাজে যোগ দিতে দেয়নি সিএমসি’র চীনা শ্রমিকরা। অবশেষে বিকাল ৪ ঘটিকায় একসাথে ৫শ’ শ্রমিক বেরিয়ে আসে। তারা বলেন, দীর্ঘদিন থেকে বিভিন্ন অজুহাতে শ্রমিকদের খনি থেকে বের করে দেয়া হয়েছে। খনি শ্রমিকরা দীর্ঘ ৯ মাস ধরে খনির ভেতরে অবস্থান করে আসছে।

এতে খনির ২৬ জন শ্রমিক করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। ফলে খনির ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান স্থানীয় শ্রমিকদের আবারও হোম কোয়ারেন্টানে থাকার নির্দেশ দেন। এতে খনি শ্রমিকরা ক্ষুব্ধ হয়ে ৫শ’ শ্রমিক খনির ভেতর থেকে বেরিয়ে আসে।

শ্রমিকরা অভিযোগ করে বলেন, তারা বাহিরে না আসতে পারলেও, খনির কর্মকর্তারা ও চীনা নাগরিকরা প্রতিনিয়ত খনির বাইরে যাতায়াত করেছে। খনি শ্রমিক নেতা রবিউল ইসলাম রবিকে বারবার ফোন দিলেও তিনি ধরেননি।

বড়পুকুরিয়া কোল মাইনিং কোম্পানি লিমিটেড (বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি) এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী মোঃ কামরুজ্জামান খান বুধবার বিকেলে কে জানান, চুক্তি অনুযায়ী খনির চীনা ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সিএমসি এক্সএমসির লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয়েছে।

স্থানীয় শ্রমিকরা সবাই চীনা ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের শ্রমিক। ইতিমধ্যে কিছু শ্রমিক করোনায় আক্রান্ত হওয়ায় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সকল শ্রমিকদের কোরান্টাইনে থাকার জন্য ছুটি দেয়। আপাতত কয়লা উৎপাদন বন্ধ।

এমডি জানান, করোনাকালীন সময় (গত বছরের এপ্রিল মাস) থেকে যে সব শ্রমিক বেকার হয়ে বাড়ীতে আছে, তাদের সরকারের পক্ষ থেকে প্রতিমাসে সাড়ে ৫ হাজার টাকা দেয়া হচ্ছে। নতুন চুক্তি না হওয়া পর্যন্ত কয়লা উত্তোলন বন্ধ থাকবে। নতুন চুক্তি হলে আবারও কার্যক্রম শুরু হবে।

এদিকে, বড়পুকুরিয়া কয়লাখনির উত্তোলিত কয়লা দিয়ে তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছে। দীর্ঘদিন কয়লা উত্তোলন বন্ধ থাকলে হুমকির মুখে পড়তে পারে তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র।

এনএফ৭১/এনজেএ/২০২১




পাঠকের মন্তব্য

মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।

Top