৯৯৯ ফোন, ৪৫ যাত্রীকে উদ্ধার করল নৌ-পুলিশ
পাবনা থেকে | প্রকাশিত: ২৪ আগষ্ট ২০২১, ০০:১৮
উত্তাল পদ্মা নদীতে ইঞ্জিন বিকল হয়ে পড়ে একটি যাত্রীবাহী নৌকা। এরপর নৌযানটি ভাসতে থাকে। ভয় পেয়ে যান যাত্রীরা। অগত্যা এক যাত্রী জাতীয় জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯–এ ফোন করে অসহায়ত্বের কথা জানান। সেই কল পেয়ে পাবনার ঈশ্বরদীর লক্ষ্মীকুণ্ডা ফাঁড়ির নৌপুলিশ নৌকাসহ যাত্রীদের নিরাপদে উদ্ধার করে। ঈশ্বরদী উপজেলার পাকশী হার্ডিঞ্জ ব্রিজের কাছাকাছি এলাকা থেকে গত শনিবার মধ্যরাতে তাদের উদ্ধার করা হয়।
রোববার বিকেলে পুলিশ থেকে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, শনিবার রাত সাড়ে ১০টায় ৯৯৯ কলটেকার কনস্টেবল লোকমান হাকিম একটি কল রিসিভ করেন। আলিমুজ্জামান নামে একজন কলটি করেছিলেন। কলার জানান, তাঁরা ১৫ শিশুসহ ৪৫ জন একটি নৌযানে করে ঈশ্বরদী থেকে দুপুর ১২টায় রাজশাহীর বাঘা মসজিদ পরিদর্শন ও পিকনিকের জন্য রওনা দিয়েছিলেন। যাত্রাপথে উপজেলার পাকশী হার্ডিঞ্জ ব্রিজের কাছে তাঁরা যাত্রাবিরতি ও পিকনিক করেন।
সেখানে সারাদিন অবস্থানের পর রাত সাড়ে ৯টায় বাঘার উদ্দেশে রওনা দেন। কিছুদূর চলার পর তাদের নৌযানের প্রপেলারে ভেঙে যায়। মাঝি নৌকাটিকে মাঝ নদীতেই নোঙর ফেলে আটকানোর চেষ্টা করেন। পদ্মায় বর্তমানে প্রবল স্রোতের কারণে সেই প্রচেষ্টা অসম্ভব হয়ে পড়ে। এ অবস্থায় তারা উদ্ধারে সহায়তা চান। বিষয়টি জেনে পাবনা জেলা পুলিশ নিয়ন্ত্রণ কক্ষ এবং রাজশাহী নৌ- পুলিশ নিয়ন্ত্রণ কক্ষে জানিয়ে দ্রুত উদ্ধারের ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য অনুরোধ জানায়।
সংবাদ পেয়ে লক্ষীকুণ্ডা নৌ পুলিশ ফাঁড়ির উদ্ধারকারী দল রওনা দেয়ার প্রস্তুতি নেয়। পুলিশ একটি বড় নৌযানের ব্যবস্থা করে উদ্ধার ওই রাতে অভিযান শুরু করে। রাত সাড়ে ১১ থেকে দেড়টা পর্যন্ত তিন ঘণ্টার অভিযানে বিকল নৌযানসহ ৪৫ যাত্রীকে নিরাপদে উদ্ধার করতে সক্ষম হয় পুলিশ।
লক্ষীকুন্ডা নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ আব্দুল হামিদ মিয়া জানান, উদ্ধার যাত্রীদের বয়স ১২ থেকে ২০ বছর হবে। উদ্ধারের পর রাতে তাদের পুলিশ ফাঁড়িতে ঘুম, খাবার ও পানীয় পরিবেশন করা হয়। রোববার সকালে অভিভাবকদের কাছে মুচলেকা নিয়ে ওই শিশুকিশোরদের হস্তান্তর করা হয়।’
এনএফ৭১/এনজেএ/২০২১
পাঠকের মন্তব্য
মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।