অবৈধ ড্রেজার মেশিনের তান্ডবে কাজ পাচ্ছে না হাজারো শ্রমিক
সুনামগঞ্জ থেকে | প্রকাশিত: ৯ জানুয়ারী ২০২২, ০৪:৫৫
মহামান্য হাইকোর্টের নির্দেশে সুনামগঞ্জ সদর উপজেলা ও বিশ্বম্ভরপুর উপজেলায় অবস্থিত ধোপাজান চলতি নদীতে বালু পাথর উত্তোলন বন্ধ থাকলেও সংঘবদ্ধ বালু খেকো চক্রের সক্রিয় সদস্যরা স্থানীয় আইনশৃঙ্খলা সদস্যদের ম্যানেজ করে রাতের আধারে নদীর দুই পাড় কেটে পরিবেশ প্রতিবেশের ক্ষতি করছে। বিলীন হচ্ছে হাজার হাজার একর ফসলী জমি, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান।
দীর্ঘ বছর ধরে নদীর দুপারের কয়েক হাজার মানুষ দেশীয় পদ্ধতিতে বালু-পাথর উত্তোলন করে জীবিকা নির্বাহ করে আসলেও অবৈধ ড্রেজার ও বোমা মেশিন ব্যবহার করে বালি পাথর উত্তোলনের কারণে শ্রমিকেরা প্রায় বেকার হয়ে পড়েছেন। প্রতিদিন রাতের অন্ধকারে চলছে অবৈধ ড্রেজার-বোমা মেশিন। ক্ষত-বিক্ষত হচ্ছে চলতি নদীর বুক। এই অবৈধ মেশিন বন্ধের দাবি বালু-পাথর শ্রমিকদের।
বালু-পাথর উত্তোলনকারী একাধিক শ্রমিক জানান, রাতের বেলায় শতাধিক অবৈধ ড্রেজার ও বোমা মেশিন দিয়ে চলতি নদীতে পাথর উত্তোলন করে আসছে একটি সিন্ডিকেট চক্র। এই পাথর স্টিলবডি নৌকা করে রাতের বেলায় চলতি নদী দিয়েই সুরমা নামানো হচ্ছে। এসব অবৈধ মেশিন ব্যবহার ও স্টিলবডি দিয়ে পাথর নামানো নিয়ন্ত্রণ করছে একটি শক্তিশালী সংঘবদ্ধ চক্র।
স্থানীয়রা জানান, চলতি নদী থেকে হাতে পাথর উত্তোলন করে হাজারো শ্রমিকের জীবন জীবিকা চলছে। কিন্তু প্রতিরাতে নদীতে চলছে অবৈধ ড্রেজার-বোমা মেশিনের তাণ্ডব। হাতের তোলা ও মেশিনে তোলা পাথর চলতি নদীর মুখে ও সদরগড় এলাকায় নদীরপাড়ে স্তূপ করেও বিক্রি করছে এ সব বালু পাথর ।
সুনামগঞ্জ পরিবেশ রক্ষা আন্দোলন সংগঠনের সভাপতি একেএম আবু নাসার বলেন, চলতি নদীতে দিনে ও রাতে ড্রেজার ও বোমা মেশিন চালনা বন্ধ করতে প্রশাসনের কাছে আবেদন দিয়েছি। এভাবে পাথর বেচাকেনা করাও অবৈধ। সরকারী রাজস্বের মারাত্মক ক্ষতি হয়। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ সবকিছু জেনেও এই অবৈধ কর্মকান্ড বন্ধ করার উদ্যোগ নিচ্ছেন না।
পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান জানান, চলতি নদীতে অবৈধ ড্রেজার ও বোমা মেশিনের বিরুদ্ধে প্রায়ই অভিযান চলছে। পুলিশের কোন সদস্য অবৈধ কর্মকান্ডে জড়িত থাকার তথ্য পেলে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এনএফ৭১/এনজেএ/২০২২
বিষয়: সুনামগঞ্জ বালু পাথর উত্তোলন
পাঠকের মন্তব্য
মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।