গাজীপুরে গার্মেন্টস কর্মীদের বিক্ষোভ, পুলিশের লাঠিচার্জ

গাজীপুর থেকে | প্রকাশিত: ৩০ জানুয়ারী ২০২২, ০১:৫৪

গাজীপুরে গার্মেন্টস কর্মীদের বিক্ষোভ, পুলিশের লাঠিচার্জ

গাজীপুর গাছা থানাধীন কুনিয়া বড়বাড়ী এলাকায় নাসা গ্রুপের লিজা কমপ্লেক্স গার্মেন্টস কারখানা বন্ধ ঘোষণা করায় সকালে শ্রমিকরা বিক্ষোভ শুরু করে। পরে পুলিশ লাঠিচার্জ করে বিক্ষুব্ধ শ্রমিকদের ছত্রভঙ্গ করে।

শনিবার (২৯ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে ৮ টার দিকে গার্মেন্টস কারখানাটির সামনে এই শ্রমিক বিক্ষোভ শুরু হয়।

কারখানা শ্রমিকরা জানান, নতুন বছরে বেতন ভাতা বৃদ্ধির কথা কর্তৃপক্ষকে জানুয়ারি মাস জুড়ে বার বার জানানো হচ্ছে। এমন অবস্থায় গত ২৬ জানুয়ারি ওই কারখানায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এতে শ্রমিকরা আতঙ্কিত হয়ে কর্মস্থল থেকে ফ্যাক্টরির কম্পাউন্ডে অবস্থান নেন। পরে ফ্যাক্টরির নির্বাহী পরিচালক খন্দকার মোশাররফ হোসনের মারমুখী আচরণ করে পুনরায় কারখানায় কাজে যোগ দিতে বলেন। এমনকি বেশ কিছু শ্রমিককে নির্বাহী পরিচালক ও সিকিউরিটি ইনচার্জ গালাগালি ও মারধর করে ।

এর প্রতিবাদ স্বরূপ কারখানার শ্রমিকরাও ওই কর্মকর্তা ও সিকিউরিটি ইনচার্জকে প্রতিহত করে। একপর্যায়ে কারখানা নির্বাহী পরিচালকে উপেক্ষা করে শ্রমিকরা ক্ষিপ্ত হয়ে ফ্যাক্টরি থেকে বের হয়ে যায়। পরদিন ফ্যাক্টরিতে কাজে যোগ দিতে আসেন এবং দিন ভর কোনরকম দিকনির্দেশনা না পেয়ে অলস সময় কাটিয়ে শ্রমিকরা বিকেল ৫টার দিকে বাড়ি ফিরে যায়।

শুক্রবার সাপ্তাহিক ছুটি শেষে শনিবার(২৯ জানুয়ারি) কাজে যোগ দিতে এসে প্রধান ফটকে কারখানা বন্ধের নোটিশ ও পুলিশ মোতায়েন দেখতে পায়। এতে শ্রমিকরা বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠলে পুলিশ তাদের উপর লাঠিচার্জ করে।

অপরদিকে ওই কারখানা পরিচালক গাজী মোহাম্মদ জাবের এক বিজ্ঞপ্তিতে জানান, কারখানার শ্রমিকেরা আমাদের নির্দেশ অমান্য করে কাজ বন্ধ রেখেছে এবং আশরাফ নামের এক কর্মকর্তাকে বেধড়ক মারধর করেছে। এছাড়াও কারখানার ফ্লোরে ঢুকে আসবাবপত্র ভাংচুর করেছে। কম্পিউটার, সিসি টিভি, ল্যাপটপ ও সার্ভারসহ কর্মকর্তাদের ১২টি মোবাইল ফোন নেই এবং অফিস থেকে ১৫ লাখ টাকা চুরি করেছে। এসব কারণে ২০০৬ সালের শ্রম আইনের ১৩ (১) ধারা অনুযায়ী আজ থেকে কারখানাটি বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।

এনএফ৭১/এমএ/২০২২

 




পাঠকের মন্তব্য

মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।

Top