বছর ধরে বিকল এক্স-রে মেশিন, অপারেশন নেই চিকিৎসকের অভাবে
হাকিমপুর থেকে | প্রকাশিত: ১৫ ফেব্রুয়ারী ২০২২, ০৫:৫৭
জেলা শহর থেকে প্রায় ৯০ কিলোমিটার সর্ব দক্ষিণে অবস্থিত হাকিমপুর উপজেলা। স্বাস্থ্য ঝুঁকি নিয়ে হিলি স্থলবন্দর ও উপজেলার লক্ষাধিক মানুষের চিকিৎসা সেবায় হাকিমপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটিতে চিকিৎসক থাকলেও, নেই বেশির ভাগ পরীক্ষা-নিরীক্ষার যন্ত্রপাতি,ভোগান্তিতে পড়তে হয় চিকিৎসা নিতে আসা সাধারণ মানুষদের। এদিকে অত্যাধুনিক ওটি (অপারেশন থিয়েটার) থাকলেও সার্জারি কনসালটেন্ট না থাকায় বন্ধ রয়েছে সব ধরনের অপারেশন কার্যক্রম। অপারেশন থিয়েটার চালু সহ সব ধরনের স্বাস্থ্য পরীক্ষার ব্যবস্থা করার দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা। যন্ত্রপাতি সহ কনসালটেন্ট ও এনেসথেসিয়া চিকিৎসকের জন্য চাহিদা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে কাছে পাঠানো হয়েছে বলে জানান উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সর কর্মকর্তা।
সরকারী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে একজন রোগীর এক্স-রে করতে সর্বোচ্চ খরচ গুনতে হয় ১০০ থেকে দেড়শ টাকা,তবে সেটি বাহিরে কোন ক্লিনিকে গুনতে ৫০০টাকার ও বেশি আল্ট্রাসনোগ্রামে ও সরকারী পরীক্ষার মূল্য ১০০ থেকে ১৫০ টাকা হলেও বাহিরে গুনতে হচ্ছে ৫০০ টাকা করে এছাড়া উচ্চ মূল্যে অপারেশন সম্পূর্ণ করতে হচ্ছে বেসরকারি ক্লিনিক গুলোতে। এতে চরম বিপাকে স্থানীয় চিকিৎসা নিতে আসা সাধারণ মানুষদের।
হাকিমপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা যায়, চিকিৎসা সেবার একমাত্র এক্স-রে মেশিনটি গেলো এক বছরের অধিক সময় ধরে নষ্ট হয়ে পড়ে রয়েছে। আল্ট্রাসনোগ্রাম মেশিন থাকলেও একজন রেডিওলোজিস্টের অভাবে হয় না পরীক্ষা নিরীক্ষা। এখানে উন্নত মানের অপারেশন থিয়েটার থাকলেও গাইনি সার্জারি ও সার্জারি কনসালটেন্টের অভাবে বন্ধ অপারেশন। ফলে দিনে পর দিন এসব চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন চিকিৎসা নিতে আসা রুগী ও রোগীর আত্মীয়রা।
চিকিৎসা নিতে আসা কামরুল নামের স্থানীয় একজন রোগী বলেন,আমাদের মত গরীব মানুষের চিকিৎসা সেবার একমাত্র ভরাস সরকারী হাসপাতাল।এখানে আসলে শুধু ঔষধ ছাড়া কিছুই মিলে না। না হয় এখানে এক্স-রে ,না হয় আল্ট্রাসনোগ্রাম ,না অপারেশন। এই জিনিসগুলো তো আমাদের জন্য অনেক দরকারি। ক্লিনিক ডায়াগনস্টিক সেন্টারে বেশি টাকা দিয়ে পরীক্ষা করতে হয়। এই পরীক্ষা গুলো সরকারী ভাবে করলে আমাদের খরচ কম হতো।
হাকিমপুর উপজেলা চেয়ারম্যান হারুন উর রশীদ হারুন বলেন,এই উপজেলাটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এখানে বিভিন্ন এলাকা থেকে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ আসেন এবং ভারতীয় ট্রাক চালকরা আসে। এখানে এক্সিডেন্ট হলে তড়িৎগতিতে অপারেশন করা যায় না স্বাস্ব্য কমপ্লেক্সে অপারেশনের এক্সপার্ট না থাকায়। আমরা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলেছি। আশা করছি খুব দ্রুত সমস্যা গুলোর সমাধান করা হবে।
হাকিমপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্মকর্তা শ্যামল কুমার দাস বলেন, আমাদের অপারেশন থিয়েটার আছে কিন্তু চালু নেই মুল সমস্যা হচ্ছে এখানে গাইনি ও সার্জারি কনসালটেন্ট না থাকায় অপারেশন প্রক্রিয়া শুরু করতে পারছি না। আমি এ বিষয়ে সিভিল সার্জনের সাথে কথা বলেছি আশা করছি খুব দ্রুত এটি চালু করা সম্ভব হবে। আর এক্স-রে মেশিন নষ্ট সেটারও চাহিদা আমরা পাঠিয়েছি । আর রেডিওলোজিস্ট না থাকায় বর্হি বিভাগে আল্ট্রাসনোগ্রাম চালু করা সম্ভব হচ্ছে না।
এনএফ৭১/এমএ/২০২২
বিষয়: হাকিমপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স
পাঠকের মন্তব্য
মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।