নরসিংদীতে ৫০০ বছরের ঐতিহ্যবাহী বাউল মেলা শুরু

নরসিংদী থেকে | প্রকাশিত: ১৮ ফেব্রুয়ারী ২০২২, ০১:১৬

নরসিংদীতে ৫০০ বছরের ঐতিহ্যবাহী বাউল মেলা শুরু

নরসিংদীতে শুরু হয়েছে প্রায় ৫০০ বছরের ঐতিহ্যবাহী বাউল মেলা। এরই মধ্যে মেলায় অংশ নিতে সমবেত হয়েছেন দেশ বিদেশের শতাধিক বাউল। মেলা উপলক্ষে স্থানীয় ব্যবসায়ীরা মেঘনার পাড়ে খাবারসহ বিভিন্ন পণ্যের স্টল নিয়ে বসেছেন।

বুধবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) সকালে শহরের কাউরিয়াপাড়ার মেঘনা নদীর তীরে বাউল আখড়াধামে শুরু হয় মেলাটি। সপ্তাহব্যপী শরু হওয়া মেলাটি চলবে ২৩ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। বাউল ঠাকুরের আখড়াবাড়ি সূত্রে জানা গেছে, প্রায় ৫০০ বছর ধরে চলে আসছে এই বাউল উৎসব। ৫০০ বছর আগের এক বাউল ঠাকুরের স্মরণে এই মেলার আয়োজন করা হয়। তবে কে প্রথম এখানে মেলার আয়োজন করেন সে বিষয়ে প্রকৃত তথ্য জানা নেই কারও।

ব্রিটিশ শাসনামলে এই মেলার আয়োজন করতেন নদী রাম বাউল। পরবর্তীতে তার নাতী মনীন্দ্র চন্দ্র বাউল ও বর্তমানে তাঁর ছেলে সাধন চন্দ্র বাউল, মৃদুল বাউল মিন্টু, শীর্ষেন্দু বাউল পিন্টু, মলয় বাউল রিন্টু এবং প্রাণেশ কুমার ঝন্টু বাউল এই মেলার আয়োজন করে আসছিলেন। সম্প্রতি নরসিংদীর বাউল আখড়া বাড়ির সেবায়েত তত্ত্বাবধায়ক প্রাণেশ কুমার ঝন্টু বাউল মারা গেছেন। এ বছর মেলার তত্ত্বাবধায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন মৃদুল বাউল মিন্টু।

মৃদুল বাউল মিন্টু জানান, প্রতি বছরের মতো এ বছরও মেলা উপলক্ষে আখড়াধামে ভারতসহ দেশ-বিদেশের শতাধিক বাউল সাধক এসেছেন। মরমী এ সাধকদের কাছে সাধনাই মূল ধর্ম। আত্মশুদ্ধি আর আত্মমুক্তির জন্য এ মেলায় আসেন তারা। এখানে বাউলরা মানব প্রেমের গানে সুর তোলেন। এছাড়া পূণ্যস্নান, মহাযজ্ঞ ও পূজা অর্চনায় যোগ দিতে বিভিন্ন এলাকা থেকে পূণ্যার্থীদের আগমন ঘটছে।

এদিকে বাউল মেলা উপলক্ষে ব্যবসায়ীরা বাঙ্গালির চিরচেনা মুখরোচক খাবার ও বাহারি পণ্য নিয়ে হাজির হয়েছেন। এসব খাবারের মধ্যে রয়েছে আমিত্তি, জিলেপি, সন্দেশ, বারো মিঠাই, দই, মুড়ালি, গুড়ের তৈরি মুড়ি ও চিড়ার মোয়া, তিলের মোয়া, তিলের সন্দেশ, খাস্তা, কদমা, নারকেলের নাড়ু, তিলের নাড়ু, খাজা, গজা, নিমকি, মনাক্কা, গাজরের হালুয়া, পিঠাসহ রকমারি খাবার। এছাড়া খেলনা, ঘরের তৈজসপত্র, আসবাবপত্র, বিভিন্ন ধরনের তৈরি পোশাক, মাটি ও বাঁশের তৈরি জিনিসপত্রসহ নানা ধরনের পণ্যের স্টল বসছে।

এনএফ৭১/এনজেএ/২০২২




পাঠকের মন্তব্য

মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।

Top