ফকিরহাটে ২৫ বীর নিবাসের গুণগত মান বজায় রাখতে প্রশাসনের তৎপরতা
ফকিরহাট থেকে | প্রকাশিত: ১০ জুন ২০২২, ১০:০০
বাগেরহাটের ফকিরহাটে ৩ কোটি ৪৪ লক্ষ ৫৮ হাজার ৩৫৭ টাকা ব্যায়ে ২৫ জন অস্বচ্ছল মুক্তিযোদ্ধা পরিবার ‘বীর নিবাস’ পাচ্ছেন। নির্মানাধীন বীর নিবাসের গুণগত মান বজায় রাখতে ও চলতি মাসেই মুক্তিযোদ্ধাদের কাছে ঘরগুলো হস্তান্তর করতে প্রকল্পের কাজ উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে তদারকি করছেন।
প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) সাঈদা দিলরুবা সুলতানা জানান, মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য উপজেলায় প্রথম ধাপে ১২টি ঘর নির্মাণ কাজ শুরু হয়। ঘর প্রতি ১৩ লক্ষ ৪৩ হাজার ৬১৭ টাকা ব্যায়ে মোট ১ কোটি ৬১ লক্ষ ২৩ হাজার ৪০৪ টাকায় নির্মিত ঘরগুলোর ৭০ ভাগ কাজ ইতোমধ্যে শেষ হয়েছে। ৪ শতক জমির উপর তৈরি ৭৩২ বর্গফুটের ঘরে ৪টি কক্ষ, ২টি বাথরুম ও রান্নাঘর রয়েছে।
এছাড়া দ্বিতীয় ধাপে নির্মিত ১৩টি ঘরের নক্সা একই রকম থাকলেও বাজার দর অনুযায়ী নির্মান ব্যায় বেড়েছে। ঘর প্রতি ১৪ লক্ষ ১০ হাজার ৩৮১ টাকা ব্যায়ে ১৩টি ঘরে মোট ১ কোটি ৮৩ লক্ষ ৩৪ হাজার ৯৫৩ টাকা ব্যায় করা হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা সদর ইউনিয়নের বারাশিয়া গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল কাদেরের জন্য নির্মানাধীন ঘর পরিদর্শন করছেন। এসময় কাজের মান ঠিক রাখতে তিনি ঠিকাদার ও মিস্ত্রীদের বিভিন্ন নির্দেশনা প্রদান করেন।
বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ মো. আব্দুল কাদের, সুকুমার মন্ডল, রহমান খাঁ, সুমন্ত হালদার সহ কয়েকজন মুক্তিযোদ্ধা বলেন, ‘একটা সময় মুক্তিযোদ্ধাদের অবহেলার চোখে দেখা হত। আমরা মনবেতর জীবন যাপন করলেও কেউ দেখার ছিল না। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মুক্তিযোদ্ধাদের ভাতা দিচ্ছেন, সম্মানজনক ভাবে বাঁচার জন্য এবার পাকা ঘর তৈরি করে দিচ্ছেন। ঘর পেয়ে আমরা খুব খুশি হয়েছি। নিজেদের ঘরের কাজ নিজেরাই তদারকি করছি।’
বীর নিবাসের অন্যতম ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান শেফা এন্টারপ্রাইজ এর স্বত্তাধীকারী মাসুম খন্দকার জানান, বর্তমান বাজারে গৃহনির্মাণ সামগ্রীর দাম বৃদ্ধির পেয়েছে। বাজেটের মধ্যে সর্বোচ্চ মান বজায় রেখে গৃহনির্মান কাজ করা হচ্ছে। পিআইও, ইউএনও এবং উপজেলা চেয়ারম্যান মহোদয় নিয়মিত কাজ মনিটরিং করছেন।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. মনোয়ার হোসেন বলেন, বীর মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আধুনিক মানের এ বীর নিবাস উপহার দিচ্ছেন। জাতীর শ্রেষ্ঠ সন্তানদের জন্য নির্মাণাধীন এসব ভবনে নি¤œমানের কোন নির্মাণ সামগ্রী ঠিকাদারকে ব্যবহার করতে দেয়া হবে না। প্রত্যেক মুক্তিযোদ্ধাদের বাড়ি গিয়ে নির্মাণ কাজ পরিদর্শন ও মান যাচাই করেছেন বলেও তিনি জানান।
স্থানীয় সরকার বিশেষজ্ঞ ও ফকিরহাট উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান স্বপন দাশ বলেন, কাজের গুণগত মান ঠিক রাখতে ওপেন টেন্ডারের মাধ্যমে ঠিকাদারদের কাজ দেওয়া হয়েছে। লেআউট থেকে শুরু করে ছাদ ঢালাই পর্যন্ত সব কাজের মনিটরিং করা হয়। বীর নিবাসের গুণগত মানে কোন আপোষ করা হবে না।
বিষয়: ফকিরহাট
পাঠকের মন্তব্য
মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।