বালু ব্যবসায়ী হত্যা মামলায় ৪ জনের যাবজ্জীবন

পাবনার সদর উপজেলার ভাঁড়ারায় এক বালু ব্যবসায়ীকে অপহরণের পর খুনের দায়ে চারজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ২৫ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও এক বছরের কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। এ সময় অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় দুজনকে খালাস দিয়েছেন।

সোমবার (১৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরে পাবনার বিশেষ জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. আহসান তারেক এ রায় ঘোষণা করেন। আদালতে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ছিলেন বিশেষ পিপি অ্যাডভোকেট দেওয়ান মজনুল হক, আসামিদের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট শফিকুল ইসলাম সুমন।

নিহত ব্যক্তি ভাঁড়ারা ইউনিয়নের আওরঙ্গবাদ এলাকার মৃত ইউনুছ আলীর ছেলে আলাউদ্দিন আলাল। তিনি পেশায় বালু ব্যবসায়ী ছিলেন।

সাজাপ্রাপ্তরা হলেন- সুজানগর উপজেলার মৃত ডা. ছলিম উদ্দিনের ছেলে মো. জাহাঙ্গীর হাসান, ভবানীপুর গ্রামের আব্দুল গণি শেখের ছেলে কালাম শেখ, ভাঁড়ারার আওরঙ্গবাদ এলাকার আকবর শেখের ছেলে নজরুল ইসলাম এবং সদর উপজেলার বাহিরচরের আবুল কাশেমের ছেলে রবিউল ইসলাম রবি। এ সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন মো. জাহাঙ্গীর হাসান ও রবিউল ইসলাম রবি। বাকি দুজন পলাতক রয়েছেন।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ব্যবসায়িক লেনদেন নিয়ে তাদের মধ্যে বিরোধ ছিল। সেই বিরোধের জের ধরে ২০০০ সালের ৩ আগস্ট বৃহস্পতিবার সকালে অন্যান্য আসামিদের দিয়ে আলাউদ্দিনকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যান জাহাঙ্গীর। এ সময় তাকে খুন করে পাশের চরতারাপুর পয়েন্টের পদ্মা নদীতে ফেলে দেয়। পরে এ ঘটনার তিন দিন পর পদ্মা নদী থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

এদিকে এ ঘটনায় নিহত আলালের চাচা আনিসুর রহমান বাদী হয়ে পাবনা সদর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এই মামলায় প্রথমে জাহাঙ্গীরকে অব্যাহতি দিয়ে অভিযোগপত্র দিলেও পরে বাদীর না-রাজিতে দ্বিতীয়বার জাহাঙ্গীরসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ। পরে ১২ জনের সাক্ষ্য ও দীর্ঘ আইনি প্রক্রিয়া শেষে আজ সোমবার দুপুরে আদালত এ রায় দেন।

এ বিষয়ে আদালতের পিপি অ্যাডভোকেট দেওয়ান মজনুল হক বলেন, আসামিদের অপরাধ প্রমাণিত হয়েছে। ফলে আদালত তাদের উপযুক্ত শাস্তি দিয়েছেন। এর মাধ্যমে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।