রেজিস্ট্রেশনে কর কমেছে

শাকিল আহমেদ | প্রকাশিত: ৭ অক্টোবর ২০২৩, ১৩:৩০

ছবি: সংগৃহীত

জমির রেজিস্ট্রেশনে কর কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। বুধবার (৪ অক্টোবর) জাতীয় রাজস্ব বোর্ড এ সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।

নতুন পদ্ধতিতে জমির ৫টি শ্রেণি করা হচ্ছে। এগুলো হচ্ছে-শ্রেণি-ক : রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক), চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ), গাজীপুর উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ, জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষ, গণপূর্ত অধিদপ্তর এবং ক্যান্টনমেন্ট বোর্ডের নিয়ন্ত্রণাধীন বাণিজ্যিক এলাকা (জমি বা প্লট)। শ্রেণি-খ : ‘ক’ শ্রেণিতে উল্লেখ করা আবাসিক এলাকা। শ্রেণি-গ : রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ, চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ, গাজীপুর উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ, জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষ, গণপূর্ত অধিদপ্তর এবং ক্যান্টনমেন্ট বোর্ডের নিয়ন্ত্রণাধীন নয়; কিন্তু ডেভেলপার বা রিয়েল এস্টেট কোম্পানির প্রতিষ্ঠিত বাণিজ্যিক এলাকা। শ্রেণি-ঘ : ‘গ’ শ্রেণিতে উল্লেখ করা আবাসিক এলাকা। শ্রেণি-ঙ : ক, খ, গ, ঘ শ্রেণি ব্যতীত অন্য সব এলাকা। অর্থাৎ দেশের পৌরসভা ও প্রত্যন্ত এলাকার জমি বা প্লট।

বর্তমানে ঢাকার গুলশান, বনানী, মতিঝিল, দিলকুশা, নর্থ সাউথ রোড, মতিঝিলের সম্প্রসারিত এলাকা এবং মহাখালী এলাকার বাণিজ্যিক জমির ক্ষেত্রে ৮ শতাংশ বা ২০ লাখ টাকার মধ্যে যেটি বেশি, সেই হারে উৎসে কর ধার্য রয়েছে। আবাসিক জমির বেলায় ১০ লাখ টাকা কর দিতে হবে। নতুন প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, বাণিজ্যিকে ১৫ লাখ এবং আবাসিকের ক্ষেত্রে ৬ লাখ টাকা উৎসে কর দিতে হবে।

চট্টগ্রাম জেলার খুলশী, পাঁচলাইশ, পাহাড়তলী, হালিশহর ও কোতোয়ালি থানার সব মৌজা, নারায়ণগঞ্জ জেলার ফতুল্লা, সিদ্ধিরগঞ্জ, বন্দর থানার সব মৌজা, গাজীপুর জেলার সদর, বাসন, কোনাবাড়ি, গাছা, টঙ্গী পূর্ব, টঙ্গী পশ্চিম থানার সব মৌজার ক’ শ্রেণির জমির ক্ষেত্রে দলিল মূল্যের ৬ শতাংশ অথবা কাঠাপ্রতি ৩ লাখ টাকা, খ’ শ্রেণির জন্য ৬ শতাংশ বা এক লাখ টাকা, গ’ শ্রেণির জন্য মূল্যের ৬ শতাংশ অথবা কাঠাপ্রতি ৩ লাখ টাকা, ঘ’ শ্রেণির জন্য মূল্যের ৬ শতাংশ অথবা কাঠাপ্রতি এক লাখ টাকা এবং ঙ’ শ্রেণির জন্য ৬ শতাংশ অথবা কাঠাপ্রতি ৮০ হাজার টাকার মধ্যে যেটি বেশি, সেই হারে উৎসে আয়কর দিতে হবে।

এছাড়া জেলা সদরের ভেতরে অবস্থিত পৌরসভার অন্তর্গত সব মৌজা, জেলা সদরের বাইরে পৌরসভা এলাকার অন্তর্গত মৌজা এবং পৌরসভা ব্যতীত অন্য সব এলাকার জন্য পৃথক উৎসে কর হার নির্ধারণ করা হচ্ছে। একইভাবে ফ্ল্যাট রেজিস্ট্রেশনের ক্ষেত্রে মৌজা ও শ্রেণিভিত্তিক বর্গমিটারপ্রতি উৎসে কর নির্ধারণ করা হচ্ছে।

বাণিজ্যিক জমি হোক বা আবাসিক-বর্তমানে এলাকাভেদে জমি রেজিস্ট্রেশনে উৎসে কর আদায় করা হয়, যা যৌক্তিক নয়। বিদ্যমান পদ্ধতিতে জমি-ফ্ল্যাট রেজিস্ট্রেশনে সরকার কাঙ্ক্ষিত হারে রাজস্ব না পাওয়া এবং এ ধরনের ত্রুটি-বিচ্যুতি থাকায় উৎসে কর কাঠামো পুনর্বিন্যাস করা হচ্ছে। প্রজ্ঞাপনের খসড়া আইন মন্ত্রণালয়ে ভেটিংয়ে পাঠানো হয়েছে। চলতি সপ্তাহেই এ প্রজ্ঞাপন জারি হতে পারে।




পাঠকের মন্তব্য

মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।

Top