মুন্সিগঞ্জে নৌকা সমর্থককে কুপিয়ে হত্যা

রায়হান রাজীব | প্রকাশিত: ৭ জানুয়ারী ২০২৪, ১৮:২০

ছবি: সংগৃহীত

নির্বাচনী সহিংসতার মুন্সীগঞ্জের ভোটকেন্দ্রের সামনে নৌকা প্রতীকের এক সমর্থককে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। রোববার সকালে ভোট শুরুর পরই মিরকাদিম উপজেলার টেঙ্গর এলাকায় তিন রাস্তার মোড়ে নৌকার সমর্থক জিল্লুরকে কুপিয়ে হত্যা করে সড়কে ফেলে রেখে যায় দুর্বৃত্তরা।

স্বজনদের দাবি, জিল্লুর ছিলেন নৌকার সমর্থক। প্রতিপক্ষ কাঁচি মার্কার সমর্থকেরা তাকে হত্যা করেছে।নিহত জিল্লু ওরফে ঝিল্লু টেঙ্গরের শরীতুলের ছেলে। এবং এ আসনের আওয়ামী লীগের প্রার্থী অ্যাডভোকেট মৃণাল কান্তি দাসের কর্মী হিসেবে দাবি করেছে নৌকার সমর্থকরা।

নিহতের স্ত্রী রেহেনা বেগমের দাবি, সকালে ভোট কেন্দ্রে যাওয়ার জন্য বাসা থেকে বের হন জিল্লুর রহমান। পথে স্বতন্ত্র প্রার্থী কাঁচি প্রতীকের সমর্থক মিরকাদিম পৌরসভার সাবেক পৌর মেয়র শহিদুল ইসলাম শাহীন ও পৌর কাউন্সিলর মো. লিটনের নেতৃত্বে কয়েকজন তাকে ঘিরে ধরে। এ সময় তাকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। এই ঘটনায় জড়িতদের দ্রুত আইনের আওতায় এনে কঠোর শাস্তির দাবি জানান তিনি।
 
পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আসলাম খান গণমাধ্যমকে বলেন, ঘটনাটি ভোটকেন্দ্রের বাইরে ঘটেছে। এটি অপ্রত্যাশিত ছিল। সেখানে অনেক ফোর্স (আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য) মোতায়েন রয়েছে। তারপরও কারা, কেন এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে তা তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পুলিশ সুপার বলেন, এই আসনের অন্য কেন্দ্রগুলোতে তেমন কোনো সমস্যা নেই। পর্যাপ্ত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা দায়িত্ব পালন করছেন।
 
 
ঘটনার দুঃখ প্রকাশ করে জেলা রিটার্নিং অফিসার আবু জাফর রিপন বলেন, হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে যারাই জড়িত থাকুক না কেন তদন্ত করে সবাইকে আইনের আওতায় এনে কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে।
 
মুন্সিগঞ্জ-৩ আসনের নৌকার প্রার্থী মৃণাল কান্তি দাস। তিনি কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক সম্পাদক। তিনি দুবার এ আসনের সংসদ সদস্য ছিলেন। জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য মোহাম্মদ ফয়সাল কাঁচি প্রতীক নিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করছেন। তাঁর বাবা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. মহিউদ্দিন। ফয়সাল দুবার মুন্সিগঞ্জ পৌরসভার মেয়র ছিলেন।
 

 




পাঠকের মন্তব্য

মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।

Top