শরীয়তপুরের ডাকাতির সময় গণপিটুনি, ২ ডাকাত নিহত
Nasir Uddin | প্রকাশিত: ১ মার্চ ২০২৫, ১১:৩৬

শরীয়তপুর সদরে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে গ্রামবাসীর ধাওয়া খেয়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় গণপিটুনিতে ২ ডাকাত নিহত হয়েছে। এসময় ডাকাতদলের গুলিতে আহত হয়েছেন চার গ্রামবাসী। শুক্রবার দিবাগত রাত ১০টার দিকে উপজেলার ডোমসার ইউনিয়নের তেতুলিয়া এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়, পুলিশ ও হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার রাতে মাদারীপুরের রাজারচর এলাকায় বাল্কহেডে ডাকাতির চেষ্টা করে ডাকাতরা। পরে তাদের ধাওয়া দেয় স্থানীয়রা। এ সময় ডাকাতরা পালিয়ে শরীয়তপুরের তেতুলিয়া এলাকায় আসলে স্থানীয়রা তাদের গতি রোধ করে বাল্কহেড দিয়ে। এ সময় ডাকাতরা হাতবোমা ও এলোপাতাড়ি গুলি ছুড়লে আহত হয় বেশ কয়েকজন। পরে ডাকাতরা স্পিডবোট ফেলে পালানোর সময় সাতজনকে আটক শেষে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশের হাতে তুলে দেয়।
পরে তাদের গুরুতর আহত অবস্থায় সদর হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। এদের মধ্যে দুইজনকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক। এ ছাড়াও ডাকাতদের ছোড়া গুলিতে চারজন আহত হয়ে সদর হাসপাতালে ভর্তি হয়। এদের মধ্যে দুইজনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকায় পাঠানো হয়।
ডাকাত দলের ছোড়া গুলিতে আহতরা হলেন, শরীয়তপুরের পালং থানার ডোমসার মোল্লা কান্দি এলাকার তোতা মিয়া (৩৫), পিরোজপুরের ভান্ডারিয়ার বাল্কহেড শ্রমিক মাসুম মিয়া (৩০), একই জেলার নাজিরপুর উপজেলার কালিকাঠী এলাকার বাল্কহেড শ্রমিক আলামিন (১৯)।
এ বিষয়ে সদর হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক মুনতাসির খান বলেন, ডাকাতের ছোড়া গুলিতে চারজনকে আহত অবস্থায় নিয়ে আসা হয়েছিল। এদের মধ্যে দুইজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাদের উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় রেফার করা হয়েছে।
শরীয়তপুরের পুলিশ সুপার মো. নজরুল ইসলাম জানান, ডাকাত দলের পাঁচজন সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তাদের কাছ থেকে একটি অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। দুটি ঘটনায় পরবর্তী আইনি পদক্ষেপ প্রক্রিয়াধীন।
পাঠকের মন্তব্য
মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।