আতঙ্কে নির্ঘুম রাত কাটালেন নদীপাড়ের মানুষ
মিঠু মুরাদ | প্রকাশিত: ৬ অক্টোবর ২০২৫, ১০:১০

তিস্তা নদীর পানি হঠাৎ বৃদ্ধি পাওয়ায় লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার নদীপাড়ের মানুষ চরম দুশ্চিন্তা ও আতঙ্কে নির্ঘুম রাত পার করছেন। ইতোমধ্যে উপজেলার ছয়টি ইউনিয়নের বেশ কিছু এলাকা প্লাবিত হয়েছে। নদীপাড়-সংলগ্ন রাস্তাঘাট পানির নিচে তলিয়ে গেছে, বন্ধ হয়ে গেছে স্বাভাবিক চলাচল।
সরেজমিনে দেখা গেছে, হাতীবান্ধার গড্ডিমারী ইউনিয়নের গাজীরমোড় ও বটতলা এলাকায় স্থানীয়রা নিজ উদ্যোগে মাটিভর্তি বস্তা ফেলে পানি ঠেকানোর চেষ্টা করছেন। এ ছাড়া সানিয়াজান, সিঙ্গিমারী, সিন্দুর্না, পাটিকাপাড়া ও ডাউয়াবাড়ি ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় তিস্তার পানি প্রবেশ করেছে।
পানি বৃদ্ধির কারণে তিস্তা ব্যারাজ রক্ষার একমাত্র ফ্লাইড বাইপাস সড়কটির ওপর দিয়ে এখন পানি প্রবাহিত হচ্ছে। যে কোনো সময় লালমনিরহাট-নীলফামারী যোগাযোগব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রোববার রাত ৮টার পর থেকেই তিস্তা নদীর ফ্লাইড বাইপাস সড়কের ওপর দিয়ে পানি প্রবাহ শুরু হয়। এতে সড়কটি ভেঙে যাওয়ার শঙ্কা দেখা দিয়েছে। পরিস্থিতি অবনতি হওয়ায় পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) তিস্তাপাড়ে ‘রেড অ্যালার্ট’ জারি করেছে এবং মাইকিং করে লোকজনকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে।
এদিকে উজানের পাহাড়ি ঢল ও টানা বৃষ্টিপাতের কারণে তিস্তার পানি বিপৎসীমার ৩৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। নিম্নাঞ্চলে পানি ঢুকে শত শত পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। চরাঞ্চলের ফসলি জমিও পানিতে তলিয়ে গেছে।
হাতীবান্ধার পাশাপাশি পাটগ্রামের দহগ্রাম, আদিতমারীর চর গোবর্ধন ও মহিষখোঁচা, সদর উপজেলার খুনিয়াগাছ, রাজপুর ও গোকুন্ডা ইউনিয়নেও বন্যা পরিস্থিতির অবনতি ঘটছে।
এ বিষয়ে ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী অমিতাভ চৌধুরী বলেন,
“বর্তমানে তিস্তা নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ফ্লাইড বাইপাস সড়ক দিয়ে পানি চলাচল করছে। আমরা সবাইকে সতর্ক অবস্থানে থাকার আহ্বান জানিয়েছি।”
বিষয়:
পাঠকের মন্তব্য
মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।