ফকিরহাটে জ্ঞানের আলো ছড়াচ্ছে বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের ভ্রাম্যমাণ লাইব্রেরি

বাগেরহাট থেকে | প্রকাশিত: ২ মার্চ ২০২১, ১৬:৪৬

ফকিরহাটে জ্ঞানের আলো ছড়াচ্ছে বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের ভ্রাম্যমাণ লাইব্রেরি

'আলেকিত মানুষ চাই' শ্লোগানে জ্ঞানের আলো ছড়াতে কাজ করে যাচ্ছে বাগেরহাটের ফকিরহাটে বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের ভ্রাম্যমাণ লাইব্রেরি। উপজেলার চারটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে প্রতি সোমবার চলছে এ কার্যক্রম। সকাল ৮টা-রাত ৮টা পর্যন্ত চলে বই দেওয়া নেওয়া ও পড়ার কাজ। প্রতিটি পয়েন্টে দুই ঘন্টা অবস্থান করে ভ্রাম্যমাণ লাইব্রেরির পিকআপ ভ্যানটি।

শুধু শিক্ষার্থী নয়, চাকরিজীবী, গৃহীনি, ব্যবসায়ীসহ বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ বই নিতে পারেন এখান থেকে। সাধরণ ও বিশেষ সদস্যরা বই ফেরত দেওয়ার শর্তে বাড়িতে নিয়েও পড়তে পারেন বই।

সোমবার (১ মার্চ) বেলা ১১টার সময়ে ফকিরহাট আট্টাকা কেরামত আলী পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সামনের মাঠে রাখা বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের ভ্রাম্যমাণ লাইব্রেরি থেকে বই সংগ্রহ করে স্কুলের মধ্যে নিয়ে পড়তে দেখা যায় কয়েকজন শিক্ষার্থীকে। গরম ও রোদের কারণে তারা লাইব্রেরি থেকে বই নিয়ে স্কুল বা বাড়িতে বসে পড়েন।

কথা হয় আট্টাকা কেরামত আলী মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ১০ম শ্রেণির শিক্ষার্থী অনন্যা সাহার সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘এই ভ্রাম্যমাণ লাইব্রেরিতে শিশু কিশোরদের জন্য মজার এবং শিক্ষনীয় অনেক শিশুতোষ বই আছে। এসব বই পড়ে আমরা প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার পাশাপাশি সহশিক্ষা কার্যক্রমের নানা বিষয়ে জ্ঞানার্জন করতে পারি।’

ফকিরহাট কাজি আজহার আলি কলেজের প্রভাষক খান মুস্তাসীম বিল্লাহ সজল বলেন, উপজেলা সদরে কোন গণগণগ্রন্থাগার না থাকায় মানুষ বইয়ের মাধ্যমে জ্ঞান চর্চার সুযোগ বঞ্চিত হচ্ছিল। কিন্তু এখন বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের ভ্রাম্যমাণ লাইব্রেরি সে অসুবিধা দুর করেছে। এখানে শিশুতোষ, ইতিহাস, প্রবন্ধ, গল্প, ভ্রমন কাহিনী, নাটক, কবিতাসহ বিশ্বের নামিদামি লেখকের বইয়ের অনুবাদসহ দেশের লেখকদের বিভিন্ন বই রয়েছে। যা পড়ে শিক্ষার্থীসহ সকল মানুষ নিজেকে আলোকিত করতে পারছেন।

বিশ্ব সাহিত্যকেন্দ্র বাগেরহাট ইউনিটের লাইব্রেরি কর্মকর্তা আসমাউল হুসনা বলেন, ‘সাধারণ সদস্য ১০০ টাকা, বিশেষ সদস্য ২০০ টাকা এবং বই রক্ষণাবেক্ষণের জন্য ১০ টাকা ফি জমা দিয়ে এই ভ্রাম্যমাণ লাইব্রেরি থেকে বই সংগ্রহ করতে পারবেন সদস্যরা।’

তিনি আরো বলেন, সকলের মাঝে জ্ঞানের আলো ছড়িয়ে দিতে এবং শিক্ষার্থীদের মনে বই পাঠের মাধ্যমে এক জ্ঞানের নতুন জগত সৃষ্টি করতে বিশ^ সাহিত্য কেন্দ্র নিরলস কাজ করে যাচ্ছে।

এনএফ৭১/জেএস/২০২১




পাঠকের মন্তব্য

মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।

Top