দুই প্রতারকের খপ্পরে টাকা খোয়ালেন দৌলতখানের নারীরা
ভোলা থেকে | প্রকাশিত: ১২ মার্চ ২০২১, ০৭:৪৫
ভোলার দৌলতখান উপজেলা প্রতারনার শিকার হয়ে টাকা খোয়ালেন শতাধিক অসহায় নারী। তাদের কাছ থেকে দর্জির কাজ শেখানো ও সেলাই মেশিন দেওয়ার নাম করে অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
নিজেদের অর্থ ফেরত ও প্রতারক চক্রের দুই সদস্য মাহাবুব আলম ও মাকছুদুর রহমানের বিচারের দাবিতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ভুক্তভোগী ওই নারীরা।
সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, প্রতারকচক্রের ওই দুই সদস্য ভোলা সদর উপজেলার ভাপ্তা ইউনিয়নের বাসিন্দা। তারা দীর্ঘদিন ধরে প্রত্যন্ত অঞ্চলের অসহায় নারীদের স্বাবলম্বী করার কথা বলে কেন্দ্র খুলে দর্জি শেখান। দুই মাসের কোর্সে এসব নারীদের ১৫০ টাকা করে ভর্তি করানো হয়। এমনকি ভর্তি হওয়ার পর ১২০০ টাকা জমা দিলে এক সপ্তাহের মধ্যে একটি সেলাই মেশিন দেয়া হবেও বলে প্রতিশ্রুতি দেন। ১২০০ টাকা এই চক্রের হাতে পৌঁছানোর পর তাদের ব্যবহৃত নাম্বারটিও বন্ধ করে যোগাযোগ বন্ধ করে দেন।
তারপর আর এসব নারীরা এই চক্রের খোঁজ পান না। সম্প্রতি ভোলার দৌলতখান উপজেলার সৈয়দপুর ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের মাতাব্বর বাড়ী, বাগান বাড়ি, ভুট্ট মেস্তরী বাড়ি, ঢাকায়া মান্নান বাড়ি, হাজিপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশের বাড়ি, এসব বাড়ি থেকে নারীদের অর্থ আত্মসাৎ করেছেন।
প্রতারণার শিকার নারীরা একজন লাবলি বেগম জানান, ‘প্রতারক চক্র তাদেরকে ১২০০টাকা দিয়ে সেলাই মেশিন দেয়ার নামে দর্জি কাজে ভর্তি করেন। অনেকে স্বর্ণালংকার বন্ধক রেখে তাদের টাকা দিয়েছেন।’ এসব অসহায় নারীরা তাদের অর্থ ফেরত ও প্রতারকদের শাস্তির দাবি করছেন। আর না হয় এভাবে তাদের মতো অনেক অসহায় নারী প্রতারণার শিকার হতে পারেন বলে শঙ্কা তাদের।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগী নারীরা তাদের অর্থ ফেরত ও প্রতারকদের শাস্তির দাবি করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ দাখিল করেছেন।
দৌলতখান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. কাওছার হোসেন জানান, এ ব্যাপারে লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
এনএফ৭১/জেএস/২০২১
পাঠকের মন্তব্য
মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।