• ** জাতীয় ** আমরা জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার হ্রাস করেছি : শেখ হাসিনা ** আবারও তিন দিনের ‘হিট অ্যালার্ট’ জারি ** চুয়াডাঙ্গায় হিট স্ট্রোকে দুই নারীর মৃত্যু ** ইউআইইউ ক্যাম্পাসে ‘কৃত্রিম বৃষ্টি’ নিয়ে তোলপাড় সারাদেশ ** সিলেটে মসজিদে যাওয়ার পথে বজ্রপাতে ইমামের মৃত্যু ** নরসিংদীতে হিট স্ট্রোকে যুবকের মৃত্যু ** সব ধরনের সংবাদ জানতে ভিজিট করুন : https://www.newsflash71.com ** সব ধরনের ভিডিও দেখতে ভিজিট করুন : youtube.com/newsflash71 ** লাইক দিন নিউজফ্ল্যাশের ফেসবুক পেইজে : fb/newsflash71bd **


রাজশাহীর চরাঞ্চলে সম্ভাবনাময় ফসল বাদাম চাষ

রাজশাহী থেকে | প্রকাশিত: ১৭ মার্চ ২০২১, ১৭:৫১

রাজশাহীর চরাঞ্চলে সম্ভাবনাময় ফসল বাদাম চাষ

রাজশাহীর চরাঞ্চলে বাড়ির পাশের পতিত জমিগুলো অনাবাদিই পড়ে থাকত। ৪ বছর আগে কৃষি বিভাগ স্থানীয় বাসিন্দাদের সেসব জমিতে বাদাম চাষের পরামর্শ দেয়।কিন্তু প্রথমে তেমন সাড়া পড়েনি। তবে গত বছরের লাভ দেখে এবার বাদাম চাষ বেড়ে দ্বিগুণ হয়ে গেছে। চাষিরা আশা করছেন, এবারও তারা লাভবান হবেন।

কৃষি বিভাগ জানিয়েছে, চার বছর আগে যখন চাষিদের বাদাম চাষে উদ্বুদ্ধ করা হয়, তখন খুব কম চাষিই এতে সাড়া দেন। চার বছরের মধ্যে গত বছর সর্বোচ্চ ২০৫ হেক্টর জমিতে বাদাম চাষ হয়। চাষিরা বেশ লাভও করেন। আর এ কারণে চলতি মৌসুমে বাদাম চাষ বেড়ে ৪০৮ হেক্টরে গিয়ে দাঁড়িয়েছে।

রাজশাহীর পদ্মা নদীর ওপারে পবা, গোদাগাড়ী, বাঘা ও চারঘাটের কিছু অংশে বাদাম চাষ হয়েছে। সবচেয়ে বেশি চাষ হয়েছে পবায়। ঢাকা-১, বারি-৪ ও বিনা-৮ জাতের বাদামের চাষ করেছেন চাষিরা। চরাঞ্চলের বেলে-দোআঁশ মাটি বাদাম চাষের জন্য খুব উপযোগী। আর এ কারণেই চরে বাদাম সম্প্রসারণ করা হচ্ছে।

পবার চর মাঝারদিয়াড় গ্রামের বাদাম চাষি আফসার আলী জানান, গত বছর তিনি এক বিঘা জমিতে বাদাম চাষ করেছিলেন। এতে লাভ হয়েছে ১০ হাজার টাকা। এজন্য এবার তিন বিঘা জমিতে বাদাম চাষ করেছেন।

একই গ্রামের আসগার আলী এ বছর নতুন করে বাদাম চাষ করেছেন। তিনি বলেন, গতবার তার গ্রামের আনেকেই বাদাম চাষ করে লাভবান হয়েছেন। তাই শুনে এবার তিনি নিজেই দুই বিঘা পতিত জমিতে বাদাম চাষ করেছেন। জমিতে এরই মধ্যে গাছ গজিয়েছে। আশা করছেন এবারও লাভ হবে।

স্থানীয় উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা ইকবাল হোসেন জানান, চর মাঝারদিয়াড়ের মতো চরখিদিরপুরেও বাদাম চাষ বেড়েছে। বাদাম চাষে প্রতি বিঘায় সবমিলিয়ে পাঁচ-ছয় হাজার টাকা খরচ হয়। আর বাদামের উৎপাদন ছয় থেকে নয় মণ। এর দাম প্রায় ১২ থেকে ১৫ হাজার টাকা। পতিত জমিতে একটু শ্রম দিয়েই এ লাভ করা সম্ভব। সে কারণেই চরাঞ্চলের চাষিরা বাদাম চাষে আগ্রহ পেয়েছেন।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপ-পরিচালক (শস্য) উম্মে ছালমা বলেন, চরাঞ্চলে বাদাম একটা সম্ভাবনাময় ফসল। সে কারণেই চাষিদের উদ্বুদ্ধ করা হয়।

এজন্য পবা ও বাঘা উপজেলায় এক একর করে প্রদর্শনী খেতও করা হয়েছে। চাষিরা এখন লাভের ব্যাপারটি বুঝতে পেরেছেন। সে কারণে তারা বাদাম চাষে আগ্রহ দেখাচ্ছেন। কৃষি বিভাগ থেকে তাদের সহায়তা করা হচ্ছে।

এনএফ৭১/জেএস/২০২১




পাঠকের মন্তব্য

মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।

Top