লকডাউনের কারণে হিলিবন্দরে চালের দাম বেড়েছে
হিলি থেকে | প্রকাশিত: ১৮ এপ্রিল ২০২১, ০১:৪৫
শতকরা ২৫ শতাংশ শুল্ক কর দিয়ে সরকারের শর্তাবলী মেনেই ৩৭০ থেকে ৪২৫ ডলারের মধ্যে প্রতি মেট্রিক টন চাল আমদানি করছে আমদানিকারকেরা। নতুন করে আমদানির অনুমতি না পাওয়ায় হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারতীয় চাল আমদানি কমতে শুরু করেছে এবং লক-ডাউনের কারণে বাড়তে শুরু করেছে চালের দাম।
স্বল্প সময়ের মধ্যে চালের বাজার মূল্য স্বাভাবিক রাখতে চাল আমদানির উপর গুরুত্ব আরোপ করেন সরকার। ফলে ১০ লাখ ১৭ হাজার ৫০০ মেট্রিক টন নন-বাসমতি চাল আমদানির অনুমতি পায় আমদানিকারকেরা। ফলে আমদানিকারকগণ প্রচুর চাল আমদানি করায় বন্দরের পাইকারি বাজারে কেজিতে ৩/৪ টাকা কমে গেলেও পরে তা স্থিতিশীল হয়ে আসে।
এদিকে লক-ডাউনের কারণে গেলো কয়েকদিন থেকে কেজি প্রতি ৩ থেকে ৪টাকা বেড়ে যায় চালের দাম। সরকার আর নতুন করে চালের আমদানির অনুমতি না দেওয়ায় চালের আমদানি কমে গেছে। আর অল্প দিনেই চাল আমদানি বন্ধ হয়ে যাবে, বলছেন হিলি স্থলবন্দর আমদানি-রফতানিকারক গ্রুপের সভাপতি হারুন উর রশিদ হারুন।
এদিকে বন্দরের পাইকারি ক্রেতাগণ বলছেন, লকডাউনের প্রভাব পড়েছে চালের বাজারে। গত তিন দিনের ব্যবধানে স্বর্ণা চাল প্রতি কেজি ৪ টাকা দাম বেড়ে ৪১/৪২ টাকার চাল বিক্রি হচ্ছে ৪৫/৪৬ টাকায় । ২৮ চাল ৪৬টাকা থেকে ৪৯ টাকায়, সম্পাকাটারি ৫০ টাকা থেকে ৫৬ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
হিলি পানামা পোর্ট লিংক লিমিটেড এর গণ-সংযোগ কর্মকর্তা সওরাব হোসেন মল্লিক প্রতাপ জানান, চাল আমদানি অনেকাংশে কমেছে। তিনি আমদানিকারকদের বরাত দিয়ে আরও জানান, সরকার থেকে যতটুকু চাল আমদানির অনুমতি দিয়েছে তার অতিরিক্ত আর নতুন করে হয়তো আর অনুমতি আসছে না।
হিলি কাস্টমস সূত্রে জানা যায়, গত ৯ জানুয়ারি থেকে ১৩ এপ্রিল পর্যন্ত ৩ মাস ৫ দিনে ১ লাখ ৪৫ হাজার ৬৩৫ মেট্রিক টন চাল আমদানি হয়েছে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে। আর এর বিপরীতে রাজস্ব এসেছে ১২৯ কোটি ১৮ লাখ ৪৫ হাজার টাকা।
অন্যদিকে সরকার শতকরা ২৮ থেকে ৬০ শতাংশ চালের শুল্ক হার বৃদ্ধি করায় গত ২০১৯ সালের মার্চ মাস থেকে চাল আমদানি বন্ধ হয়ে যায়।
এনএফ৭১/এনজেএ/২০২১
বিষয়: হিলি
পাঠকের মন্তব্য
মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।