দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ৫ পুলিশ সদস্যসহ আহত ৪০

গোপালগঞ্জে টেম্পু স্ট্যান্ডের দখলকে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ৫ পুলিশ সদস্যসহ অন্তত ৪০জন আহত হয়েছে। এ সময় কমপক্ষে ১০টি বাড়ি দোকান-ঘর ভাংচুর করা হয়। এ ঘটনায় পুলিশ ২০ জনকে আটক করেছে।

রোববার দুপুর থেকে বিকাল পর্যন্ত প্রায় ৪ ঘণ্টা ধরে থেমে থেমে সদর উপজেলার শহরতলীর ঘোষেরচর উত্তরপাড়া গ্রামে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মোহাম্মদ ছানোয়ার হোসেন এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

সংঘর্ষে মারাত্মক আহত সোহেল খান (২৮), কিং খান (৩০), শামীম খান শাহনেওয়াজ (৩০), কোরবান মোল্যা (১৫), তুষার খান (২০), ইমামুল মোল্যা (৩৫), তৌহিদ শেখ (২৫), শামীম মোল্যা (২৫), রবিউল মোল্যা (৩০), মিটু খান (২৫), তামিম মোল্যা (২৫), নওশের আলী (৪৫) সহ ১৭ জনকে গোপালগহ।জ ২৫০-শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বাকী আহতদের বিভিন্ন ক্লিনিকে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ছানোয়ার হোসেন জানান, গোপালগঞ্জ জেলা শহরের বড় বাজার এলাকার টেম্পু স্ট্যান্ড নিয়ে ঘোষেরচর উত্তর পাড়া গ্রামের বাসিন্দা সুজন শেখ ও সেন্টু শেখের মধ্যে দীর্ঘ দিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। এ নিয়ে গত ৩ দিন আগে উভয় পক্ষের মধ্যে কথা কাটাকাটি ও ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।

এরই জের ধরে আজ রোববার দুপুরে উভয় পক্ষ দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। প্রায় ৪ ঘণ্টা ধরে থেমে থেমে চলা এ সংঘর্ষে উভয় পক্ষ ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে। পরে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পুলিশ ১৫ রাউন্ড সর্ট গানের গুলি নিক্ষেপ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ সময় কমপক্ষে ১০টি বাড়ি দোকান-ঘর ভাংচুর করা হয়।

এ সংঘর্ষে ৫ পুলিশ সদস্যসহ উভয় পক্ষের কমপক্ষে ৪০ জন আহত হন। আহতদেরকে গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ও বিভিন্ন ক্লিনিকে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আরো জানান, এ ঘটনায় ২০ জনকে আটক করেছে পুলিশ। এলাকার পরিস্থিতি থমথমে অবস্থা বিরাজ করায় ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত কোন পক্ষই থানায় অথিযোগ দায়ের করেনি। ।

এনএফ৭১/এনজেএ/২০২১