বিয়ের ৮ মাসেই গৃহবধূ সোনিয়ার মৃত্যু!

গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর থেকে | প্রকাশিত: ৮ মে ২০২১, ২২:১২

মুকসুদপুরে বিয়ের ৮ মাসেই গৃহবধূ সোনিয়ার মৃত্যু। পরিবারের দাবি হত্যা।

গোপালগঞ্জের মুকসুদপুরে বিয়ের ৮ মাসের মধ্যেই গৃহবধূ সোনিয়ার (২০) অপমৃত্যু হয়েছে, পরিবারের পক্ষ থেকে দাবি তাকে হত্যা করা হয়েছে। ৩ মে সোমবার মুকসুদপুর পৌরসভার গোলাবাড়িয়া গ্রামে এই মৃত্যুর ঘটনাটি ঘটে। গৃহবধূ সোনিয়ার পরিবারের দাবি তার স্বামী শামিম শেখ, শশুর রহমান শেখ, শাশুড়ি, সুইটি বেগম ও ননদ শিলা আক্তার এই হত্যাকা- ঘটিয়েছে।

ঘটনাসূত্রে জানা যায়, গোলাবাড়িয়া গ্রামের রহমানের পুত্র শামিমের সাথে একই গ্রামের সোনিয়া আক্তারের দীর্ঘদিনের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। সম্পর্ক থাকা অবস্থায় সোনিয়ার অন্যত্র বিয়ে হয়। বিয়ের ২ মাস পার না হতেই শামিম কৌশলে সোনিয়াকে স্বামী ত্যাগ করতে বাধ্য করায়।

স্বামী পরিত্যক্তা সোনিয়া বাবার বাড়িতে অবস্থান করে। দীর্ঘ ৪ বছর পরে তারা দুজন বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে পরিবারের লোকজন সম্মিলিতভাবে তাদের আনুষ্ঠানিকভাবে বিয়ে দেয়। বিয়ের পর থেকেই শামিমের পরিবার যৌতুকের ১লাখ টাকা দাবি করে আসছিলো।

প্রত্যক্ষদর্শী করিমের স্ত্রী রশিদ বেগম জানায়, আমি শামীমদের বাড়ির পেছনে চাতালে ধান শুকাতে ছিলাম। খবর পেয়ে ঘরে ঢুকে দেখি ঘরের দরজা দুটোই খোলা কিন্তু সোনিয়ার গলায় ওড়না পেঁচানো অবস্থায় ঘরের আড়ার সাথে ঝুলে আছে। আমার চিৎকার করলেই শামিমের মা আর বোন ঘরে ঢুকে তড়িঘড়ি করে সোনিয়াকে ওড়না কেটে নামায়।

মুকসুদপুর থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক সাইফুল ইসলাম জানান, আমরা একটা অপমৃত্যুর খবর পাই। এই বিষয়ে মুকসুদপুর থানায় একটা অপমৃত্যু মামলা দায়ের করা হয়েছে। পরে এসআই গোলাম কিবরিয়াকে তদন্তের দায়িত্ব দিলে তিনি লাশের সুরৎহাল প্রস্তুত করে ময়নাতদন্তের জন্য গোপালগঞ্জ মর্গে প্রেরণ করা হয়।

এনএফ৭১/এনজেএ/২০২১




পাঠকের মন্তব্য

মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।

Top