পার্বতীপুরে আবাদী জমির ক্ষতি করার অভিযোগে কৃষকের গণস্বাক্ষর
দিনাজপুরের পার্বতীপুর থেকে | প্রকাশিত: ১২ জুন ২০২১, ০৫:৪৫
দিনাজপুরের পার্বতীপুরে সরকারিভাবে বাঙ্গালীপুর জলকর খাল পূনঃ খননের ক্ষেত্রে অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে। এতে প্রায় অর্ধশত একর ফসলী জমি চাষাবাদের অনুপযোগী হওয়ায় দিশেহারা হয়ে পড়েছেন শতাধিক কৃষক। শুক্রবার এ ঘটনায় প্রতিকার চেয়ে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে অভিযোগ দিয়েছেন ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা।
জানা যায়, নদী সংস্কারের নামে উপজেলার পলাশবাড়ী ইউনিয়নের ধোপাকল মৌজার পশ্চিম পাশের উত্তর-দক্ষিণ দিক দিয়ে ধোবাকল, ডাঙ্গাপাড়া, খিয়ারপাড়া, আটরাই, চকবোয়ালিয়া, বাঙ্গালীপুর, ফকিরপাড়া, ঝাকুয়াপাড়া ও ছয়ঘরিয়া দিয়ে বয়ে যাওয়া খাল পুনঃ খননের কাজ শুরু করে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান। খননের সময় মাটি খালের পাড়ে নির্দিষ্ট স্থানে রাখার কথা থাকলেও তা করা হয়নি।
স্থানীয় ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক তাজুল ইসলাম, তাসকিনুর রহমান, লিয়াকত আলী, খোরশেদ আলম, সোলায়মান, বাদল ইসলাম, সাকওয়াত হোসেন জানান, তাদের প্রত্যেকেরই জমির ওপর খননকৃত খালের মাটি রাখা হয়েছে বলে সাংবাদিকদের জানান ।
কিন্তু খননের সময় কোন প্রকার পূর্বানুমতি বা নোটিশ ছাড়াই মাটি রাখায় দো-ফসলী আবাদী জমির পরিমাণ কমে যাচ্ছে। এ ঘটনায় প্রতিকার চেয়ে ৮৭ জনের স্বাক্ষরিত একটি অভিযোগ ইতিমধ্যে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান, পার্বতীপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার, নির্বাহী প্রকৌশলী পাউবো সৈয়দপুরসহ বিভিন্ন দপ্তরে দেয়া হয়েছে।
ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান রংপুরের ইউনাইটেড ট্রেডার্স ও সৈয়দপুর পাউবো’র উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী রাকিবুল হাসানের সাথে শুক্রবার সকালে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তাদের মতামত জানা সম্ভব হয়নি।
সৈয়দপুর পাউবো নির্বাহী প্রকৌশলী কৃষ্ণ কমল চন্দ্র সরকার ঘটনার বিষয়ে বলেন, ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান কখনোই কৃষকের জমিতে মাটি রাখতে পারেনা। বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দেন তিনি। এ ব্যাপারে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানিয়েছেন পার্বতীপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাশিদ কায়সার রিয়াদ।
এনএফ৭১/এনজেএ/২০২১
বিষয়: পার্বতীপুর
পাঠকের মন্তব্য
মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।