ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর শিক্ষার্থীদের বৃত্তি ও সাইকেল বিতরণ

পাবনার ঈশ্বরদী থেকে | প্রকাশিত: ২৭ জুন ২০২১, ২৩:২৩

ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর শিক্ষার্থীদের বৃত্তি ও সাইকেল বিতরণ

প্রধানমন্ত্রী আমাকে সাইকেল দিয়েছেন, আমি তা নিয়ে স্কুলে যাব। প্রধানমন্ত্রীর উন্নয়ন সহায়তা কর্মসূচির আওতায় উপহার হিসেবে বাইসাইকেল পেয়ে এভাবেই নিজের প্রতিক্রিয়া জানাচ্ছিল স্কুলছাত্রী কুমারি কালি দাসী রানী। শুধু রানী নয়, তাঁর মতো ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর আরও ১০ শিক্ষার্থীর হাতে রোববার সকালে এ বাইসাইকেল তুলে দেওয়া হয়। এ ছাড়া এই সম্প্রদায়ের আরও ১৪৯ জন শিক্ষার্থী পেয়েছে শিক্ষাবৃত্তি ।

উপজেলা পরিষদের মিলনায়তনে এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে তাদের হাতে প্রধানমন্ত্রীর উপহার তুলে দেওয়া হয়। এ উপহার পেয়ে তারা খুশি এবং উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে। উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর থেকে পাওয়া উপহার রোববার সকালে আনুষ্ঠানিকভাবে উপজেলার ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর ১৫৯ শিক্ষার্থীর হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ১০ জন শিক্ষার্থীকে একটি করে বাইসাইকেল এবং ১৪৯ শিক্ষার্থীকে আড়াই থেকে ৪ হাজার টাকা শিক্ষাবৃত্তির দেওয়া হয়।

বাইসাইকেল পাওয়া দাশুরিয়া ইউনিয়নের দরগা বাজার উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেনীর শিক্ষার্থী কুমারি পূজা রানী জানায়, প্রতিদিন তাকে দুই কিলোমিটার হেঁটে বিদ্যালয়ে যেতে হয়। এত দিন অনেক কষ্ট করতে হয়েছে। প্রায়ই নির্দিষ্ট সময়ে বিদ্যালয়ে পৌঁছা সম্ভব হয়নি। তবে সাইকেল পেয়ে তার সুবিধা হয়েছে। এখন সাইকেল চালিয়ে সময়মতো বিদ্যালয়ে যেতে পারবে।

সাইকেল পাওয়ায় একই রকম অনুভূতি ব্যক্ত করে একই বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও হরিজন সম্প্রদায়ের রিপা ও মায়া। বিনা মূল্যে সাইকেল পাওয়া যাবে, তা ভাবতেই পারেনি তারা। শিক্ষাবৃত্তি পাওয়া হরিজন সম্প্রদায়ের শিক্ষার্থী সুব্রত ঘোষ বলেন, তাঁরা বরাবরই অবহেলিত ছিলেন। এই প্রথম কোনো সহযোগিতা পেলেন। প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর থেকে এ সহযোগিতা তাঁকে আরও অনুপ্রাণিত করবে।

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) পিএম ইমরুল কায়েস বলেন, ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর এ শিক্ষার্থীদের খুঁজে বের করে তাদের কাছে প্রধানমন্ত্রীর উপহার হিসেবে বাইসাইকেল ও শিক্ষা উপকরণ দিয়েছেন তাঁরা। ফলে এই শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ার আগ্রহ বাড়বে এবং ঝরে পড়াও কমবে বলে মনে করছেন তিনি।

দরগা বাজার উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মো: রফিকুল ইসলাম বলেন, তাঁর প্রতিষ্ঠানের ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর কয়েকজন ছাত্রী বাইসাইকেল পেয়েছে। ছাত্রীরা কষ্ট করে বিদ্যালয়ে যাতায়াত করত। এখন আর তাঁদের কষ্ট করতে হবে না। নির্দিষ্ট সময়ে বিদ্যালয়ে আসতে পারবে।

এ বিষয়ে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সেলিম আক্তার বলেন, প্রধানমন্ত্রীর এ উপহার পেয়ে সবাই খুশি। এই উদ্যোগে শিক্ষার্থীদের কষ্ট লাগব হবে। লেখাপড়ার প্রতি তাদের আগ্রহ বাড়বে।

এনএফ৭১/এনজেএ/২০২১

 



বিষয়: ঈশ্বরদী


পাঠকের মন্তব্য

মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।

Top