ঈশ্বরদীতে কাঁঠালের হাট
পাবনার ঈশ্বরদী থেকে | প্রকাশিত: ২৯ জুন ২০২১, ২০:৫৬
ঈশ্বরদীতে এবার কাঁঠালের বাম্পার ফলন হয়েছে। মৌসুমের শুরুতে কাঁঠাল বিক্রির জন্য উপজেলার ছলিমপুর ইউনিয়নের জয়নগর বোর্ড মোড়ে প্রতিদিন বসছে কাঁঠালের হাট। তবে করোনার সময় কাঁঠালের ভালো দাম পাচ্ছেন না বলে জানিয়েছেন বাগান মালিকরা। তারা বলছেন, কাঁঠালের দাম পড়ে যাওয়ায় লোকসান গুনতে হচ্ছে তাদের।
মঙ্গলবার দেখা গেছে, ভোর থেকে হালকা বৃষ্টি হচ্ছিল। সকাল বেলায় বৃষ্টি কমে এলেও মেঘলা আকাশ ও ঠান্ডা হাওয়ায় তখনো বৃষ্টির আমেজ। এরই মধ্যে এক-দুজন কাঁঠাল নিয়ে আসতে শুরু করেন। দেখতে দেখতে সকাল আটটা-নয়টার মধ্যে খালি জায়গা কাঁঠাল ও ক্রেতা- বিক্রেতার উপস্থিতিতে অনেকটাই ভরে ওঠে। বাতাসে তখন পাকা কাঁঠালের ঘ্রাণ। হাট পেয়েছে কাঁঠালের রং।
বাজারসংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এই বাজারটি বছরের জ্যৈষ্ঠ মাসের প্রথম থেকেই জমতে শুরু করে। উপজেলার বিভিন্ন গ্রাম থেকে রিকশা-ভ্যান ও ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা গাড়িতে করে প্রচুর কাঁঠাল আনা হয় জয়নগর বোর্ড মোড়ে। ক্রেতারা কাঁঠাল কেনার জন্য ভিড় করে। এ হাটে ৩ কেজি থেকে ৫ কেজি ওজনের কাঁঠাল সর্বোচ্চ প্রায় ৫০ টাকা, ৬ কেজি থেকে ১৫ কেজি পর্যন্ত ১০০ টাকার ওপরে বিক্রি হয়। ১৫ কেজির ওপরে প্রতিটি কাঁঠাল ১৫০ থেকে ৩০০ টাকা দরে কিনতে হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, উপজেলার ছলিমপুর, সাহাপুর, লক্ষীকুন্ডা, পাকশী ও দাশুড়িয়া ইউনিয়নসহ বিভিন্ন এলাকার কাঁঠাল বাগান এখন ফলে ভরপুর। উপজেলার সদরের হাট-বাজারগুলোতেও পাকা কাঁঠাল উঠতে শুরু করেছে। বাড়ির আঙ্গিনায়, রাস্তার দুই ধারে, স্কুল-কলেজ চত্বরে প্রচুর কাঁঠাল গাছের দেখা মেলে। আর এসব গাছে ঝুলে থাকা কাঁঠালের দৃশ্য অনেকের নজর কাড়ে। চারা লাগানোর পর সাধারণত এর কোনও যত্ন নেওয়া হয় না। ঝড়ে যাতে ভেঙে না পড়ে তার জন্য শুধু খুঁটি ও খাঁচা ব্যবহার করা হয়।
সাহাপুর ইউনিয়নের কাঁঠাল বাগানের মালিক কায়সার মৃধা আক্কাস বলেন, অন্যান্য ফল ও গাছ নিয়ে সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ে যত তৎপরতা লক্ষ করা যায়, কাঁঠাল নিয়ে তার সিকিভাগও হয় না। কোনও কোনও পরিবার কাঁঠাল বিক্রি করে সারা বছরের আয় করছে। দুই থেকে তিন মাস কাঁঠালের ভরা মৌসুম।
উপজেলার সদরের পিয়ারপুর এলাকা থেকে কাঁঠাল হাটে নিয়ে আসা মুসলিম মিয়া বলেন, গত বছরের তুলনায় এ বছর বাগানে অনেক বেশি কাঁঠাল ধরেছে। তিনি প্রতি বছর পঁচিশ হাজার টাকা আয় করেন। এবছরও ফলন বেশ ভালো হয়েছে। কিন্তু করোনাকালে কাঁঠাল নিয়ে বিপাকে আছেন।
ঈশ্বরদী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আব্দুল লতিফ বলেন, এ বছর ১৫৫ হেক্টর জমিতে কাঁঠালের চাষ হয়েছে। কাঁঠালের উৎপাদনও ভালো হয়েছে।
এনএফ৭১/এনজেএ/২০২১
বিষয়: ঈশ্বরদী
পাঠকের মন্তব্য
মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।