শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

ব্যাটে-বলে ব্যর্থতায় হারল বাংলাদেশ

স্পোর্টস ডেস্ক | প্রকাশিত: ৪ জুলাই ২০২২, ২১:৫৮

ব্যাটে-বলে ব্যর্থতায় হারল বাংলাদেশ

বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা যেন ব্যাট হাতে রান করতেই ভুলে গেছেন। ফরম্যাট বদলাচ্ছে, পোশাক বদলাচ্ছে- তবুও ব্যর্থতার বৃত্ত ভাঙতে পারছেন না টাইগার ব্যাটসম্যানরা। টেস্ট হোক বা টি-টোয়েন্টি, প্রতিটি ম্যাচের পরেই ব্যাটিং ব্যর্থতাকে কাঠগড়ায় তোলা হচ্ছে। একের পর এক ভুল শটস, ইনিংস বড় করতে না পারার আক্ষেপের সঙ্গে প্রশ্নের পিঠে প্রশ্ন জমা হচ্ছে। তবুও এর উত্তর নেই, সমাধান নেই কোনো।

আরো একবার ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতার দায় চোকাতে হলো বাংলাদেশ দলকে। যদিও এদিন ব্যাটসম্যানদের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে ‘খারাপ’ করার প্রতিযোগিতায় নেমেছিলেন বোলাররাও। ডোমিনিকায় দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে রভম্যান পাওয়েলের ঝড়ো ব্যাটিংয়ে স্কোর বোর্ডে ১৯৩ রানের পাহাড় জমা করে ক্যারিবীয়রা। ১৯৪ রানের লক্ষ্য টপকাতে নেমে ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতায় ১৫৮ রানের বেশি তুলতে পারেনি টাইগাররা। এতে ৩৫ রানে হারতে হয়েছে বাংলাদেশ দলকে।

১৯৪ রানের লক্ষ্যে ব্যাট কর‍তে নামা বাংলাদেশ দলকে কখনোই মনে হয়নি এই রান টপকিয়ে ম্যাচ জিততে পারার আত্মবিশ্বাস আছে। বরং জয়-পরাজয় ভুলে ২০ ওভার ব্যাট করতে পারাটাই যেন বড় চ্যালেঞ্জ ছিল ব্যাটসম্যানদের। অথচ বলা হচ্ছে, এই সিরিজ দিয়ে অস্ট্রেলিয়ায় বসতে যাওয়া আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রস্তুতি শুরু হয়েছে!

টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে প্রায় প্রতি ম্যাচেই বদল আসছে ওপেনিংয়ে। আজও তার ব্যত্যয় হয়নি। মুমিন শাহরিয়ার না থাকায় তিন থেকে তুলে ইনিংস শুরু করতে পাঠানো হয় লিটন দাসকে। তবে টেস্ট সিরিজ থেকে রান খরায় ভোগা এই ডানহাতি ফিরে যান ৫ রানে। দ্বিধাদ্বন্দ্ব নিয়ে ব্যাট চালিয়ে ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে প্রথম বলে ক্যাচ দেন লিটন। ম্যাককয়ের করা পরের বলেই বোল্ড হন এনামুক হক বিজয়। ৪ বলে ৩ করেন তিনি।

অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ যেন বাকিদের আয়নায় নিজেকে খুঁজছেন। ভালো শুরুর বার্তা দিয়েও তার ইনিংস থামে ৭ বলে ১১ রানে। এনিয়ে টি-টোয়েন্টিতে নবম বারের মতো ত্রিশ রানের কোটা ছুঁতে ব্যর্থ দলপতি। মাহমুদউল্লাহ সাজঘরে ফিরলে দলীয় ২৩ রানে ৩ উইকেট কারিয়ে কার্যত ম্যাচ থেকে ছিটকে যায় বাংলাদেশ দল। এরপর খানিক চেষ্টা করেছিলেন সাকিব আল হাসান আর আফিফ হোসেন। তবে লাভ হয়নি।

চতুর্থ উইকেটে দুইজনের পার্টনারশিপ থেকে আসে ৪৪ বলে ৫৫ রান। আফিফ ২৭ বলে ৩৪ রানে স্কুপ করতে গিয়ে উইকেটের পিছনে ক্যাচ দিয়ে আউট হলে ভাঙে এই জুটি। এরপর ৬ ওভারে জয়ের জন্য যখন ১০০ রান প্রয়োজন, তখন ১৩ বলে ৭ রানের ‘টেস্ট’ ইনিংস খেল আউট হন নুরুল হাসান সোহান। সাকিব অবশ্য একপ্রান্তে ধরে রাখেন, তবে সতীর্থদের যাতায়াতের মিছিলে প্রয়োজনের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে রান তুলতে পারেননি।

সাকিব অবশ্য পরে ফিফটির দেখা পেয়েছেন, তবে ওয়ানডে স্টাইলে ব্যাট করে ৪৫ বলে পাওয়া সেই অর্ধশতক একেবারেই মূল্যহীন। শেষদিকে মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতকে নিয়ে তিনি যখন হাতে খুলে ব্যাটিং শুরু করেন, তার বেশ আগেই ম্যাচ থেকে ছিটকে গেছে সফরকারীরা। সাকিবের ৫টি চার আর ৩টি ছয়ে ৫১ বলে ৬৭ রানের ইনিংসটি হারের ব্যবধানই কমিয়েছে শুধু। 

সঙ্গে মোসাদ্দেকের ১১ বলে ১৫ রানের সুবাদে ২০ ওভার শেষে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৫৮ রানে থামে বাংলাদেশ দলের ইনিংস। এতে ৩৫ রানে পরাজয় বরণ করতে হয় মাহমুদউল্লাহর দলকে। ফলে তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম ম্যাচ বৃষ্টিতে পণ্ড হওয়ার পর দ্বিতীয় ম্যাচ হেরে সিরিজে ০-১ ব্যবধানে পিছিয়ে বাংলাদেশ।



বিষয়: বাংলাদেশ


পাঠকের মন্তব্য

মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।

Top