শাহবাগ থানা মামলা নিল মৃত্যুর দু’বছর পর
ডেস্ক রিপোর্ট | প্রকাশিত: ২৭ নভেম্বর ২০২০, ১৬:০৩
নিজস্ব প্রতিবেদক:
রওশন আরা বেগম, ২০১৮ সালের ৫ সেপ্টেম্বর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে ডাক্তার তার বাম কিডনি অপারেশন করতে গিয়ে কেটে ফেলে ডান কিডনিও। ঘটনার দু’মাস পর মারা যান তিনি।
পরিবারের পক্ষ থেকে ভুল চিকিৎসা ও কিডনি চুরির অভিযোগে থানায় মামলা করতে গেলে, থানা থেকে বলা হয় ময়নাতদন্তের রির্পোট লাগবে। নির্দিষ্ঠ সময়ে রিপোর্ট দিতে না পারায়,অভিযুক্ত চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে মামলা নেয়নি শাহবাগ থানা। ভুক্তভোগীর পরিবারের অভিযোগ রিপোর্ট পেতে তাদের কেটে গেছে প্রায় দুই বছর।
দুই বছর পর ময়নাতদন্ত রিপোর্ট রওশন আরার ছেলে চলচ্চিত্র পরিচালক রফিক শিকদারের কাছে আসায় গতরাতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪ চিকিৎসকের বিরুদ্ধে মামলা করেন তিনি।
অবশেষে এ মাসের শুরুর দিকে থানায় আসে ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন। সেখানেও তার দুই কিডনি না থাকার প্রমাণ মেলে। অবশেষে ঘটনার দুই বছর পর শাহবাগ থানায়, বঙ্গবন্ধু মেডিকেলের ইউরোলজী বিভাগের অধ্যাপক ডা. হাবিবুর রহমান দুলালসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন রওশন আরার ছেলে চলচিত্র পরিচালক রফিক শিকদার।
শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মামুন অর রশীদ বলেন, ‘আপনারা জানেন ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেয়েই আমরা এটা পর্যালোচনা করি তারপর মামলা করা হয়।’কিন্তু দু’ বছর ধরে কেন মামলা নেয়া হয়নি। এ নিয়ে কিছুই বলতে পারেননি তিনি।
নিহত রওশন আরার ছেলে রফিক শিকদার বলেন, এরকম একটি স্পর্শকাতর মামলার ক্ষেত্রে পোষ্টমোর্টের বড়জোর দুই থেকে তিন মাস হয়ত লাগতেই পারে। কিন্তু তিন মাসের অধিক কেন লাগবে? আমার জানা মতে, পোষ্টমর্টেম রিপোর্ট তো ওইদিনই জানা যায়। আমার মূল অভিযোগ হলো, আমার মা কে হত্যা করা হয়েছে,আমি আমার মায়ের হত্যার বিচার চাই।
প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে কিডনি সমস্যা নিয়ে অসুস্থ অবস্থায় ভর্তি হন রওশন আরা। চিকিৎসকরা তাকে সুস্থ করে তোলার জন্য তার বাম কিডনি কেটে ফেলার সিদ্ধান্ত নেয়। পরে ৫ সেপ্টেম্বর হয় অপারেশন। কিন্তু বাম কিডনির সঙ্গে কেটে ফেলা হয় ডান কিডনিও। এর কিছুদিন পর গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে বঙ্গবন্ধু মেডিকেল থেকে একটি প্রাইভেট হাসপাতালে ভর্তি করা হয় রওশন আরাকে। সেখানে পরীক্ষা করে দেখা যায়, তার দুটি কিডনিই নেই। এর দু’মাস পর তিনি মারা যান।
এনএফ৭১/এবিআর/২০২০
বিষয়:
পাঠকের মন্তব্য
মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।