ছুটিতে মোটরসাইকেল চুরি ঠেকাতে কী করবেন
রায়হান রাজীব | প্রকাশিত: ৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬:০৯
দেশে বাড়ছে মোটরসাইকেল চুরির ঘটনা। রাস্তা-ঘাট, শপিং মল-অফিসের পার্কিং জোন এমনকি বাসা-বাড়ি থেকেও চুরি হচ্ছে মোটরসাইকেল। তবে চুরি ঠেকাতে বিশেষ কিছু কৌশল অবলম্বন করে সাবধান থাকা সম্ভব।
মোটরসাইকেল চুরি ঠেকাতে বিভিন্ন ধরনের মজবুত তালা ব্যবহার করা উচিত। তবে নিম্নমানের সস্তা তালা চাবি ব্যবহার করলে বিপদে পড়তেন পারেন, কারণ এতে কোয়ালিটি কম থাকায় সহজেই ভেঙে ফেলা যায়।
বাইকের জন্য শুধু মাত্র একটি লক ব্যবহার করা আপনার মোটরসাইকেলের জন্য নিরাপদ নয়। দুটি বা তিনটি তালাও একসাথে ব্যবহার করতে পারেন। বাইক চুরি ঠেকাতে এটি একটি মজার কৌশল যা আপনার কাজে আসতে পারে। বেশি তালা ব্যবহারের ফলে লক ভাঙতে সময় লাগবে। তাই এক্সট্রা লক সব সময় ব্যবহার করা জরুরি।
দামী মোটরসাইকেলের জন্যে ভালো মানের এবং দামী লক ব্যবহার করা সবচেয়ে লাভজনক। বাইক চুরি থেকে রক্ষা পেতে ভালো ব্র্যান্ডের গ্রিপ লক এবং চেইন ব্যবহার করা নিরাপদ। অবশ্যই অরিজিনাল কোয়ালিটির মজবুত লোহার শিকল ব্যবহার করবেন চুরি ঠেকাতে। এতে করে কোনো চোরের জন্য শিকল কাটা বেশ কষ্টকর হবে।
মোটরসাইকেল চুরি ঠেকাতে বাসায় ক্লোজড সার্কিট টেলিভিশন (সিসিটিভি) ক্যামেরার ব্যবস্থা রাখা; মোটরসাইকেলে উন্নত মানের তালা ও ‘ডিস্ক লক’ লাগানো এবং ‘অ্যালার্ম’ লাগানোর পরামর্শ দেন ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) ওয়ারী বিভাগের গাড়ি চুরি, উদ্ধার ও প্রতিরোধ দলের দলনেতা সহকারী কমিশনার মাহফুজুর রহমান।
মোটরসাইকেলে ‘জিপিএস ট্র্যাকার’ লাগানোর পরামর্শও দেন এই পুলিশ কর্মকর্তা। তাঁর মতে, জিপিএস ট্র্যাকার লাগানো হলে মোটরসাইকেল চোর শনাক্ত করা সহজ হয়।
ডিবির তালিকায় থাকা ‘শীর্ষ’ মোটরসাইকেল চোরদের একজন বলেন, নিরাপত্তাব্যবস্থা নিলে মোটরসাইকেল চুরি কঠিন হয়ে যায়। মোটরসাইকেলে অ্যালার্ম লাগানো, জিপিএস ট্র্যাকার লাগানো, উন্নত মানের ‘ডিস্ক লক’ ব্যবহারের পরামর্শ তিনিও দেন।
পাশাপাশি বিশেষ ধরনের তালা ব্যবহারের পরামর্শ দেন তিনি। এই তালা ভেতরে ফাঁপা থাকে, কাঠামোটি হয় ইস্পাতের। ফলে চোর হাতুড়ি যতই আঘাত করুক, তালা ভাঙে না। তিনি বলেন, ঢালাই লোহার তালা মোটেও নিরাপদ নয়।
তিনি বলেন, অনেকে ‘হ্যান্ডল লক’ করে মোটরসাইকেল রেখে চলে যান। এটি মোটেও নিরাপদ নয়। কারণ, এই লক ভেঙে মোটরসাইকেল চুরি করতে ৩০ থেকে ৬০ সেকেন্ড সময় লাগে।
বিষয়:
পাঠকের মন্তব্য
মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।