টিকটকার প্রিন্স মামুনের বিরুদ্ধে লায়লার ধর্ষণ মামলা
সুজন হাসান | প্রকাশিত: ১১ জুন ২০২৪, ১৩:২৪
টিকটকার আবদুল্লাহ আল মামুন ওরফে প্রিন্স মামুনকে (২৫) গ্রেপ্তার করেছে রাজধানীর ক্যান্টনমেন্ট থানা-পুলিশ। লায়লা আক্তার ফারহাদ (৪৮) নামের এক নারীকে বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণের অভিযোগে সোমবার রাতে কুমিল্লা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
সোমবার (১০ জুন) রাত ৯ টার দিকে কুমিল্লা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এর আগে গত রবিবার বিয়ের প্রলোভনে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপনের অভিযোগ এনে রাজধানীর ক্যান্টনমেন্ট থানায় একটি মামলা করেন টিকটকার লায়লা।
প্রিন্স মামুন ও লায়লা সামাজিক মাধ্যম টিকটকের আলোচিত নাম। ফেসবুক ও ইউটিউবের মতো সামাজিক মাধ্যমে বিনোদনভিত্তিক কন্টেন্ট বানিয়ে বরাবরই আলোচনায় ছিলেন তারা। দুজনের অসম প্রেম নিয়েও আলোচনা ছিল তুঙ্গে। কিন্তু হঠাৎই ঘটে ছন্দপতন। মদ্যপানে যেতে বাধা দেওয়ায় লায়লাকে মারধরের অভিযোগ উঠে প্রিন্স মামুনের বিরুদ্ধে। ২০২২ সালের ৭ জানুয়ারি প্রিন্স মামুন তার মাকে সঙ্গে নিয়ে লায়লার বাসায় গিয়ে বসবাস করতে থাকেন। বিয়ে না হলেও ওইদিন থেকে মামুন ও লায়লা থাকতেন একই রুমে।
মামলার অভিযোগে লায়লা উল্লেখ করেন, মামলার বিবাদী আব্দুল্লাহ আল মামুন ওরফে প্রিন্স মামুনের সঙ্গে আমার গত তিন বছর আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকের মাধ্যমে পরিচয় হয়। পরিচয়ের একপর্যায়ে মামুন আমাকে বিয়ে করবে মর্মে প্রলোভন দেখিয়ে আমার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক স্থাপন করে। সে আমাকে জানায়, তার ঢাকায় থাকার মত নিজস্ব কোনো বাসা নেই। যেহেতু প্রেমের সম্পর্ক সৃষ্টি হয় এবং মামুন আমাকে বিয়ে করবে বলে জানায় তাই তার কথা সরল মনে বিশ্বাস করে তাকে আমার বাসায় থাকার অনুমতি দিই।
২০২২ সালের ৭ জানুয়ারি মামুন তার মাকে সঙ্গে নিয়ে আমার বাসায় এসে বসবাস করতে থাকে। ওইদিন থেকে সে আমার বাসায় আমার সঙ্গে একই রুমে থাকতে শুরু করে। আমাকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে আমার ইচ্ছার বিরুদ্ধে বিভিন্ন তারিখ ও সময়ে একাধিকবার আমার সঙ্গে শারীরিক সর্ম্পক স্থাপন করে। মামুন আমার বাসায় থাকাকালে তার বাবা-মা মাঝেমধ্যেই সেখানে এসে অবস্থান করতো। আমি মামুনকে একাধিকবার বিয়ের বিষয় বললে সে বিভিন্ন অজুহাতে সময় ক্ষেপণ করতে থাকে।
সর্বশেষ চলতি বছরের ১৪ মার্চ মামুন আমার শয়ন কক্ষে আগের মতো আমাকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে আমাকে ধর্ষণ করে। পরবর্তীসময়ে আমি তাকে বিয়ের বিষয়ে বললে সে আমার ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে। আমাকে বিভিন্ন অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করে।
বিষয়: প্রিন্স মামুন লায়লা ধর্ষণ মামলা
পাঠকের মন্তব্য
মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।