সাভারে মিললো সিরিয়াল কিলারের সন্ধান

সুজন হাসান | প্রকাশিত: ১২ জুন ২০২৪, ১৬:৫০

ছবি: সংগৃহীত

সাভারে হত্যার পরে নিজের বাড়িতে মাটি চাপা দেওয়া এক সিরিয়াল কিলারের সন্ধান পেয়েছে পুলিশ। ইতোমধ্যে এক সপ্তাহের ব্যবধানে তার দুই বাড়ি থেকে এক নারীসহ দুই জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।

এঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। মানুষ হত্যার পরে মাটি চাপা দেওয়া এই সিরিয়াল কিলারের দ্রুত ফাঁসির দাবি জানিয়েছেন সাভারবাসী।

পুলিশ জানায়, সাভারের আনন্দপুর সিটিলেন, বিরুলিয়ার খনিজনগরসহ বিভিন্ন এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে মাদকব্যবসা করে আসছিল সাভারের শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী স্বপন। তার মাদক ব্যবসার প্রতিবাদ করে আসছিলো খনিজনগর এলাকার সীমা আক্তার ও ইমান্দিপুর এলাকার টোনো। এতে ওই মাদক ব্যবসায়ী ক্ষীপ্ত হয়ে ইমান্দিপুর এলাকার যুবক টোনোকে প্রায় দশ মাস আগে অপহরণ করে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে লাশ আনন্দপুর সিটিলেন এলাকার নিজের বাড়ির একটি কক্ষে সাত ফুট মাটির নিচে পুঁতে রাখে মাদক ব্যবসায়ী স্বপন।

এ সময় মাটি চাপা দেওয়ার পরে কেউ যেন জানতে না পারে যে সেখানে লাশ পুঁতে রাখা আছে সেজন্য ঘরের মেঝেও পাকা করে খুনি। পরে গতকাল সকালে ধামরাইর কুল্লা এলাকায় অভিযান চালিয়ে শীর্ষ মাদকব্যবসায়ী স্বপনকে গ্রেফতার করে ঢাকা জেলা উত্তর গোয়েন্দা পুলিশ ডিবি। এসময় তার কাছ থেকে ইয়াবা ও অস্ত্র উদ্ধার করা হয়।

পরে তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে তার বাড়ির একটি কক্ষে রাতে অভিযান চালিয়ে নিখোঁজ যুবক টোনোর হাড় গোড় উদ্ধার করে ডিবি পুলিশ।

এর এক সপ্তাহ আগে বিরুলিয়ার খনিজনগর এলাকায় স্বপনের বাড়ির মাটি খুরে গৃহবধূ সীমার লাশ উদ্ধার করে ডিবি পুলিশ। ওই নারী স্বপনের মাদকব্যবসার প্রতিবাদ করলে তাকে অপহরণ করে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে লাশ মাটির নিচে পুঁতে রাখে সে।

এ ঘটনায় স্বপনের সহযোগী সাইফুল ইসলামকে আটক করলে স্বপনের এসব হত্যাকাণ্ডের কথা ফাঁস করে দেন তিনি। পরে স্বপনকে গ্রেফতারে সাঁড়াশি অভিযান করে ডিবি পুলিশ। গতকাল (মঙ্গলবার) আটকের পর দুই জনকে হত্যার লোমহর্ষক বর্ণনা দেয় সিরিয়াল কিলার স্বপন।

ডিবি পুলিশ আরো জানায়, মাদকব্যবসায়ী স্বপনের মাদক বিক্রিতে কেউ বাধা দিলেই তাকে হত্যার সিদ্ধান্ত নেন তিনি। মানুষ হত্যা করতে তিনি দ্বিধাবোধ করেন না। সাভারে সে অন্য কাউকে হত্যা করেছে কিনা তা তদন্ত করছে ডিবি পুলিশ।

এদিকে দুই সপ্তাহ আগে মাদকব্যবসায়ী স্বপনের সহযোগী বিরুলিয়া ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি হামিদ ও স্বপনের স্ত্রী পপি আক্তারকে ইয়াবাসহ ডিবি পুলিশ গ্রেফতার করে। এলাকাবাসী শীর্ষ একই কিলারের দ্রুত ফাঁসির দাবি জানিয়েছেন।

ঢাকা জেলা উত্তর গোয়েন্দা পুলিশ ডিবির ওসি রিয়াজ উদ্দিন বিপ্লব বলেন, সাত দিনের রিমান্ডের আবেদন করে দুপুরে (বুধবার) হত্যাকারী স্বপনকে আদালতে প্রেরণ করা হবে।




পাঠকের মন্তব্য

মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।

Top