বৃহঃস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১

চুক্তি বাতিলের পর লাপাত্তা মিথিলা ও অপর্ণা

রায়হান রাজীব | প্রকাশিত: ২৬ আগষ্ট ২০২৪, ১০:৪৮

ছবি: সংগৃহীত

কানাডায় বাংলাদেশ হাইকমিশনে কাউন্সেলর হিসেবে রাজনৈতিক বিবেচনায় নিয়োগ পেয়েছিলেন মোবাশ্বিরা ফারাজানা মিথিলা (সাংবাদিক মিথিলা ফারজানা) ও অপর্ণা রাণী পাল। তাদের দুজনের চুক্তি বাতিল করে আগামী ৩১ আগস্টের মধ্যে দেশে ফেরার নির্দেশ দেয় অন্তর্র্বতী সরকার।

কিন্তু গত ১৪ আগস্ট চুক্তি বাতিলের চিঠি পাওয়ার আগে থেকেই গা ঢাকা দিয়েছেন এ দুজন। চুক্তিভিত্তিক নিয়োগপ্রাপ্ত মোবাশ্বিরা ফারাজানা মিথিলা ও অপর্ণা রাণী পাল যে মিশনে আর যোগাযোগ করেননি। বিষয়টি কানাডায় বাংলাদেশ হাইকমিশন থেকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে জানিয়েছে।

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতন ঘটে। ওই রাতেই অপর্ণা ও ফারজানা মিথিলা কূটনৈতিক পাসপোর্ট বাতিলের আবেদন করেন। এছাড়া তারা দুজনই নিজেদের পাশাপাশি তাদের স্বামী ও ছেলের কূটনৈতিক পাসপোর্ট বাতিলের জন্য আবেদন করেন বলে গণমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে।

এ–সংক্রান্ত নথিতে দেখে গেছে, পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেনের অনুমোদনের জন্য অপর্ণা রাণী পালের এবং মোবাশ্বিরা ফারজানা মিথিলা, তার স্বামী জ্যোতি জয়েনউদ্দীন ও ছেলে অন্তর জিষ্ণুর অনুকূলে থাকা পাসপোর্ট বাতিলের জন্য পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক (প্রশাসন অনুবিভাগ) ডি এম সালাউদ্দিন আহমেদ ফাইলটি উত্থাপন করেন।

ফাইলে পররাষ্ট্রসচিবের অনুমোদন পাওয়ার পর কূটনৈতিক পাসপোর্ট চারটি বাতিলের বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে তিনি কনস্যুলার অনুবিভাগকে পরামর্শ দেন।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বেশ কয়েকজন কর্মকর্তা গণমাধ্যমকে জানান, সাধারণত এ ধরনের ফাইল সহকারী সচিব কিংবা জ্যেষ্ঠ সহকারী সচিব উত্থাপন করে থাকেন। অত্যন্ত গোপনীয়তার সঙ্গে বিষয়টি করার ক্ষেত্রে এখানে নিয়মের ব্যত্যয় ঘটানো হয়েছে। তবে ওই চারটি কূটনৈতিক পাসপোর্ট বাতিলের বিষয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সিদ্ধান্ত নিলেও পাসপোর্ট অধিদপ্তর তা করেছে কি না, সেটি নিশ্চিত হওয়া যায়নি।



বিষয়:


পাঠকের মন্তব্য

মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।

Top