ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ডের পরিচালক দিলীপ কুমার গ্রেপ্তার
সুজন হাসান | প্রকাশিত: ৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৩:৫৯
ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক দিলীপ কুমার আগারওয়ালাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের এলিট ফোর্স র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। মঙ্গলবার (০৩ সেপ্টেম্বর) মধ্যরাতে র্যাবের লিগ্যাল ও মিডিয়া উইংয়ের এক বার্তায় বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) রাতে রাজধানীর গুলশানে ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ড কার্যালয়ে অভিযান চালায় র্যাব। পরে সেখান থেকে আগারওয়ালাকে গ্রেপ্তার করে সংস্থাটি।
চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে অনুষ্ঠিত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চুয়াডাঙ্গা-১ (আলমডাঙ্গা ও সদরের একাংশ) আসন থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশ নেন ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক দিলীপ কুমার আগরওয়ালা। ওই নির্বাচনে হেরে গেলেও কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের শিল্প ও বাণিজ্যবিষয়ক উপকমিটির সদস্য দীর্ঘদিন ক্ষমতার অপব্যবহার করে করেছেন নানা দুর্নীতি।
ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ডের এই ব্যবস্থাপনা পরিচালক দিলীপ কুমার আগরওয়ালাকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাতে রাজধানীর গুলশান এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখা থেকে জানানো হয়েছে। বিশেষ করে তার বিরুদ্ধে সোনা ও হীরা চোরাচালানের মতো মারাত্মক অভিযোগ রয়েছে। সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে একটা হত্যা মামলার আসামীও হয়েছেন। এসব ঘটনার জেরে গত মঙ্গলবার দিবাগত রাতে তাকে গ্রেফতার করে র্যাপিড একশন ব্যাটলিয়ন (র্যাব)।
এর আগে মঙ্গলবার বিকেলে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) এক বার্তায় জানায়, সোনা ও হীরা চোরাচালানের অভিযোগে ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ড এবং এর স্বার্থসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু করেছে সিআইডির ফিন্যান্সিয়াল ক্রাইম ইউনিট।
দিলীপ কুমার আগরওয়ালের বিরুদ্ধে বিদেশ থেকে চোরাচালানের মাধ্যমে সোনা ও হীরা আমদানির নামে বিদেশে অর্থপাচার, প্রতারণা ও জালিয়াতির অভিযোগ রয়েছে।
তিনি প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে বিভিন্ন জেলায় নামমাত্র শো-রুমের মাধ্যমে প্রকৃত ডায়মন্ডের বদলে উন্নত মানের কাচের টুকরো প্রকৃত ডায়মন্ড হিসেবে বিক্রি করতেন। এ ছাড়া দুবাই ও সিঙ্গাপুরে স্বর্ণ চোরাচালান সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণ, ভারতের কলকাতায় তিনটি জুয়েলারি দোকান ও ১১টি বাড়ি এবং মালয়েশিয়া, দুবাই ও কানাডায় বিপুল পরিমাণ অবৈধ সম্পদ অর্জন করে পাচার করেছেন বলে তথ্য রয়েছে।
বিভিন্নভাবে প্রতারণার মাধ্যমে ৪০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করে অবৈধভাবে একটি ব্যাংকের পরিচালক হওয়ারও অভিযোগ পাওয়া গেছে তার বিরুদ্ধে।
পাঠকের মন্তব্য
মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।