গার্মেন্টস ক্ষতির মুখে পড়লে সহায়তা করবে সরকার

গোপালগঞ্জ থেকে:

করোনার দ্বিতীয় ধাপেও যদি গার্মেন্টস সেক্টরে এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয় তাহলে তাদের পুনরায় সহযোগিতা করবে সরকার এমটাই বলেছেন বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী।

শুক্রবার (২৭ নভেম্বর) গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী আরো বলেন, করোনাকালিন সময়ে গার্মেন্টস সেক্টরে ব্যবসায়ীদের অনেক অর্ডার বাতিল হয়েছে। এতে গার্মেন্টস মালিকরা ক্ষতির মধ্যে পড়েন। এই সেক্টরের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে সরকার ৫ হাজার কোটি টাকা প্রণোদনা দিয়েছেন। সরকারি প্রণোদনা পেয়ে গার্মেন্টস সেক্টর ঘুরে দাঁড়িয়েছে।

মন্ত্রী আরও বলেন, সরকারি পাটকলগুলোতে লোকসান অব্যাহত রয়েছে। প্রতি বছরই পাটকলগুলোকে সরকারকে ভর্তুকি দিতে হচ্ছে। বর্তমানে ৯৫ ভাগ বেসরকারি খাতে ও ৫ ভাগ সরকারী খাতে রয়েছে। কর্মকর্তা-কর্মচারীদের গোল্ডেন হ্যান্ডক্যাশ দিয়ে পাটকলগুলো আধুনিকায়ন করে বেসরকারি খাতে ছেড়ে দেয়া হবে। বেসরকারি খাতে প্রতিষ্ঠিত পাটকলগুলো ব্যবসা করছে। গত বছর পাটের মন ছিলও ২ হাজার টাকা আর এ বছর পাটের মন সাড়ে ৩ হাজার টাকা বিক্রি হয়েছে। এতে কৃষকরাও লাভবান হচ্ছেন।

এর আগে জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর সমাধি সৌধের বেদীতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে গভীর শ্রদ্ধা জানান বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী, এমনি। পরে বঙ্গবন্ধু ও পরিবারের নিহত সদস্যদের রুহের মাগফেরাত কামনা করে ফাতেহা পাঠ ও বিশেষ মোনাজাতে অংশ নেন।

পরে মন্ত্রী গোপালগঞ্জের ঘোনাপাড়ায় নির্মাণাধীন শেখ রেহানা টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের উন্নয়ন কাজ পরিদর্শন করেন।

এ সময় বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের সচিব লোকমান হোসেন মিয়া, বস্ত্র অধিদপ্তরের মহাপরিচালক দিলীপ কুমার সাহা (অতিরিক্ত সচিব), বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মোহাম্মদ আবুল কালাম, (এনডিসি), গোপালগঞ্জের পুলিশ সুপার মুহাম্মদ সাইদুর রহমান খান, গোপালগঞ্জ গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী অমিত কুমার বিশ্বাস, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মাহাবুব আলী খান, টুঙ্গিপাড়া উপজেলা চেয়ারম্যান সোলায়মান বিশ্বাসসহ বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ ও স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দউপস্থিত ছিলেন।

এনএফ৭১/জেএস/২০২০