টানা তৃতীয় দিন বায়ুদূষণে শীর্ষে ঢাকা
Nasir Uddin | প্রকাশিত: ৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১০:৫০
জলবায়ু পরিবর্তনসহ নানা কারণে বিশ্বের বিভিন্ন শহরে দিন দিন বাড়ছে বায়ুদূষণ। দীর্ঘদিন ধরে মেগাসিটি ঢাকাও বায়ুদূষণের কবলে। কিছু দিন ধরে বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় প্রথমদিকেই রয়েছে রাজধানী ঢাকা। মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) সকালেও শহরটির বাতাস খুব অস্বাস্থ্যকর অবস্থায় রয়েছে। এ নিয়ে টানা তৃতীয় দিন বিশ্বের নগরীগুলোর মধ্যে বায়ুদূষণে শীর্ষে থাকল ঢাকা।
মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৮টা ৯ মিনিটে বায়ু মানের সূচক (একিউআই) অনুযায়ী, ঢাকায় বাতাসের মান ছিল ২৫৩ স্কোর। বায়ুর মান বিচারে এ মাত্রাকে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ ধরা হয়।
এ ছাড়া একিউআই স্কোর ২৪৪ নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে কিরগিজস্তানের রাজধানী বিশকেক। ২৩৬ স্কোর নিয়ে তৃতীয় অবস্থানে ইরাকের বাগদাদ। ২২৫ স্কোর নিয়ে চতুর্থ অবস্থানে ভারতের দিল্লি এবং ২১২ স্কোর নিয়ে পঞ্চম অবস্থানে গণতান্ত্রিক কঙ্গো প্রজাতন্ত্রের রাজধানী কিনশাসার।
রাজধানী ও এর আশপাশের এলাকাগুলোর মধ্যে যেসব এলাকায় বায়ুর মান মারাত্মক দূষিত, সেগুলোর মধ্যে আছে কল্যাণপুর (৪৩৯), মিরপুরের ইস্টার্ন হাউজিং-২ (৩৯৪), ঢাকার মার্কিন দূতাবাস (৩৭৯)।
কোনো অঞ্চলে পরপর তিন দিন বায়ুর মান ৩০০–এর বেশি থাকলে সেখানে স্বাস্থ্যগত জরুরি অবস্থা জারি করা হয়। ঢাকায় গত জানুয়ারিতে একাধিক দিন বায়ুর মান ৩০০-এর বেশি হয়েছে।
আজ অন্য বিভাগীয় শহরগুলোর বায়ুর মানও নাজুক। এর মধ্যে বায়ুর মান চট্টগ্রামে ১৪০, রাজশাহীতে ১৬৭ ও খুলনায় ১৬৯।
ঢাকায় বায়ু দূষণের জন্য ইটভাটা, যানবাহনের ধোঁয়া ও নির্মাণ সাইটের ধুলোকে দায়ী করছেন বিশেষজ্ঞরা। বায়ুদূষণের ফলে বাড়ছে শ্বাসকষ্ট, কাশি, নিম্ন শ্বাসনালির সংক্রমণ এবং বিষণ্নতার ঝুঁকি।
বায়ুদূষণ গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে। এটা সব বয়সী মানুষের জন্য ক্ষতিকর। তবে শিশু, অসুস্থ ব্যক্তি, প্রবীণ ও অন্তঃসত্ত্বাদের জন্য বায়ুদূষণ খুবই ক্ষতিকর।
উল্লেখ্য, সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বায়ুর মান পর্যবেক্ষণকারী প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান আইকিউ এয়ার দূষিত বাতাসের শহরের এ তালিকা প্রকাশ করে। প্রতিদিনের বাতাসের মান নিয়ে তৈরি করা একিউআই স্কোর একটি নির্দিষ্ট শহরের বাতাস কতটুকু নির্মল বা দূষিত, সে সম্পর্কে মানুষকে তথ্য দেয় এবং তাদের কোনো ধরনের স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি হতে পারে কি না, তা জানায়।
পাঠকের মন্তব্য
মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।