ই-ভ্যালির ব্যবসা খতিয়ে দেখবে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়
ডেস্ক রিপোর্ট | প্রকাশিত: ২৭ আগষ্ট ২০২০, ১৮:৫৮
নিজস্ব প্রতিবেদক। নিউজফ্ল্যাশ৭১.কম
ডিজিটাল বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান ই-ভ্যালির কার্যক্রম খতিয়ে দেখতে কমিটি গঠন করেছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। গতকাল বুধবার এজন্য বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের এফটিএ অনুবিভাগের যুগ্ম সচিব মো. আবদুছ সামাদ আল আজাদকে প্রধান করে তিন সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।
এর আগে গত মঙ্গলবার বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা কমিশন ই-ভ্যালি ডটকমকে চিঠি দিয়েছে। ই-ভ্যালি তার গ্রাহকদের ৮০ থেকে ১৫০ শতাংশ পর্যন্ত অস্বাভাবিক ক্যাশব্যাক অফার দিচ্ছে বলে বাজারে একচেটিয়া কারবারের (মনোপলি) অবস্থা তৈরি হতে যাচ্ছে এবং প্রতিযোগিতার ক্ষেত্রে বিরূপ প্রভাব বিস্তার হওয়ার আশঙ্কাও দেখা দিয়েছে বলে চিঠিতে উল্লেখ করেছে প্রতিযোগিতা কমিশন। এ ছাড়া কয়েকটি ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান কার্ডে ই-ভ্যালির পণ্য কেনার কার্যক্রম সাময়িকভাবে স্থগিত করছে।
প্রতিযোগিতা কমিশন প্রতিষ্ঠাকাল থেকে এ পর্যন্ত ই-ভ্যালির লেনদেন, আয়-ব্যয়সহ কোম্পানির বিস্তারিত বিবরণ, ই-ভ্যালির আওতাভুক্ত পণ্যগুলোর বিবরণ, ই-ভ্যালির পণ্যের ভৌগোলিক সীমানার বিবরণ, ই-ভ্যালির মাধ্যমে যেসব ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ব্যবসা কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে, তাদের তালিকা ও ব্যবসায়িক লেনদেনের পদ্ধতি ও শর্তাবলি জানতে চেয়েছে।
কমিশন আরও জানতে চেয়েছে, ৮০-১৫০ শতাংশ ছাড় দিয়ে ব্যবসা করার তথ্য, ঈদ ধামাকা অফারের সঙ্গে অন্যান্য অফারের পার্থক্যের বিস্তারিত বিবরণ; ঈদ ধামাকা অফার সময়ের আগের তিন মাসের বিক্রি, আয় ও মুনাফার সঙ্গে অফার চলাকালীন বিক্রি, আয় ও মুনাফার তুলনামূলক বিবরণী।
প্রতিযোগিতা আইনের ১৬ ধারায় একচেটিয়া বাজার তৈরিতে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, পণ্য বা সেবা কেনাবেচার ক্ষেত্রে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে অন্যায্য বা বৈষম্যমূলক শর্ত আরোপ করে আগ্রাসী মূল্য নির্ধারণ করা যাবে না। কমিশনের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ই-ভ্যালি এই ধারা লঙ্ঘন করছে।
বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা কমিশন ই-ভ্যালির পাশাপাশি মঙ্গলবার ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশকেও (ই-ক্যাব) আলাদা চিঠি দিয়েছে। কমিশন এতে ই-ভ্যালির যাবতীয় তথ্য, ই-ভ্যালির প্রতিদ্বন্দ্বী ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের তালিকা ও ই-ক্যাবের ভূমিকা জানতে চেয়েছে। কমিশন এ ছাড়া জানতে চেয়েছে দেশের অনলাইন মার্কেটপ্লেসের তালিকা এবং সবচেয়ে বেশি আয় করা ২০টি অনলাইন মার্কেটপ্লেসের বার্ষিক লেনদেন, আয়-ব্যয় ও মার্কেট শেয়ারের কথাও। ই-ক্যাবকে এসব তথ্য জমা দিতে ১৫ দিন সময় দেওয়া হয়েছে।
বিষয়:
পাঠকের মন্তব্য
মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।