সংগীতের জীবন্ত কিংবদন্তি রুনা লায়লার জন্মদিন আজ

রায়হান রাজীব | প্রকাশিত: ১৮ নভেম্বর ২০২২, ০৪:০৮

সংগীত ব্যক্তিত্ব রুনা লায়লা

সংগীতশিল্পের জীবন্ত কিংবদন্তি রুনা লায়লার জন্মদিন আজ। জীবনের ৭০টি বসন্ত পেরিয়ে ৭১ বছরে পা দিলেন এই সুরের পাখি। বহু জনপ্রিয় গানের মাধ্যমে বাংলাদেশ তথা উপমহাদেশ জুড়ে সুরের সুরভী ছড়িয়েছেন এই কণ্ঠসম্রাজ্ঞী। বিশ্ব জুড়ে ছড়িয়ে থাকা বাংলার ভাষাভাষীদের কাছে রুনা লায়লা এক গৌরবের নাম।

১৯৫২ সালে সিলেটে জন্মগ্রহণ করেন রুনা লায়লা। বাবার চাকরির সূত্রে তার শৈশব কাটে পাকিস্তানের লাহোরে। ১৯৭৪ সালে ‘জীবন সাথী’ ছবিতে প্লেব্যাক করেন রুনা লায়লা। তবে পাকিস্তানের ‘যুগ্নু’ ছবিতে ছোটবেলায় প্রথম প্লেব্যাক করেন তিনি।

দীর্ঘ পাঁচ দশকে অসংখ্য কালজয়ী গান উপহার দিয়েছেন রুনা লায়লা। পাশাপাশি বাংলাদেশকে সাফল্যের সঙ্গে উপস্থাপন করেছেন আন্তর্জাতিক অঙ্গনে। লোকজ, পপ, রক, গজল, আধুনিক— সব ধাঁচের গানই গেয়েছেন তিনি।

বাংলা, হিন্দি, উর্দু, ইংরেজি, পাঞ্জাবিসহ ১৮ ভাষায় রুনা লায়লার গান মন্ত্রমুগ্ধ করেছে শ্রোতাদের। তার গানের সংখ্যা ১০ হাজারেরও বেশি। সংগীতজীবনে বর্ণাঢ্য ৫০ বছর পূর্ণ করেছেন আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন এই কণ্ঠশিল্পী।

চলচ্চিত্রের গানে অনবদ্য অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে পেয়েছেন সাতবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার। এছাড়া পেয়েছেন অসংখ্য পুরস্কার।

রুনা জানিয়েছেন নিজের গাওয়া পাঁচটি পছন্দের গানের কথা। সেগুলো হলো-‘যখন আমি থাকবো নাকো’, ‘বুকে আমার আগুন জ্বলে’, ‘যখন থামবে কোলাহল’, ‘শিল্পী আমি তোমাদেরই গান শোনাবো’ এবং ‘আয়রে মেঘ আয়রে’।

নব্বইয়ের দশকে মুম্বাইয়ে একদিনে ১০টি করে ৩ দিনে ৩০টি গানে কণ্ঠ দিয়ে গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসেও নাম লিখিয়েছিলেন তিনি।

এক সাক্ষাৎকারে রুনা লায়লার কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল, গান না করলে তিনি জীবনে কী করতেন? উত্তরে নির্ভাবনায় তিনি বলেছিলেন, ‘আমাকে শিল্পী ছাড়া আর কোনোরূপেই পাওয়া যেত না। আমার জন্মই হয়েছে গানের জন্য। গান ছাড়া আমি আর কিছুই পারি না।’

উপমহাদেশের বরেণ্য এই সংগীতশিল্পী রুনা লায়লাকে নিউজফ্ল্যাশ সেভেন্টিওয়ানের পক্ষ থেকে জন্মদিনে শুভেচ্ছা, শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা।

 

 

 

 

 

 




পাঠকের মন্তব্য

মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।

Top