সোমবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৫, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩২

তুই পাখি হবি কবে?

বিনোদন ডেস্ক | প্রকাশিত: ২৪ নভেম্বর ২০২৫, ১৩:৩৯

সংগৃহীত

প্রতিটি মানুষেরই কিছু স্বপ্ন থাকে, যা পূরণের পথ সবসময় সহজ হয় না। তবে কখনও কখনও অজান্তেই মানুষ সেই স্বপ্নের কাছাকাছি চলে আসে, যেখানে সাহায্য করে তার মনের সদিচ্ছা ও অন্তরের ভালোবাসা। তেমনই এক স্বপ্নবাজ তরুণের সঙ্গে পরিচয় হলো—নাম তানভীর শাহাজাদ।

সম্প্রতি তিনি তার ব্যক্তিগত প্রিয় জায়গা থেকে মাত্র এক মিনিট এক সেকেন্ডের একটি ভিডিও প্রকাশ করেছেন। ভিডিওটি এখনও পরীক্ষামূলক এবং কোনো শিরোনাম দেওয়া হয়নি।

ভিডিও সম্পর্কে তানভীর জানান, এটি একটি “সাইকোলজিক্যাল আর্ট ড্রামা”, যেখানে দেখানো হয়েছে একটি চরিত্র সমাজের বাইরে, একাকী এবং ভাঙাচোরা। চরিত্রটির মুখে কাটার দাগ, চোখে অস্থিরতা এবং মনে চাপাব্যথা। হাতে একটি প্লাস্টিক পাখি, যা তার একমাত্র সঙ্গী। ভিডিওর শুরুতে চরিত্রটি পাখিটিকে প্রশ্ন করে—“তুই পাখি হবি কবে? আমিও কবে পাখি হব?”—যা তার ভেতরের স্বাধীনতার আকাঙ্ক্ষা ও অবরুদ্ধ জীবনের প্রতিফলন।

ভিডিওতে দেখা যায়, চরিত্রটি লুঙ্গির ভেতর থেকে মাউথ হারমোনিকা বের করে বাজাচ্ছে। এটি তার শৈশবের স্মৃতি, যখন মামা তাকে দেড় বছর বয়সে এই হারমোনিকা উপহার দিয়েছিলেন। মাউথ হারমোনিকার সুর এবং প্লাস্টিক পাখির দোলা—দুটিই একাকিত্ব এবং নীরব মানসিক সংঘাতের প্রতীক। শেষ দৃশ্যে চরিত্রটি একটি কবরের পাশে দোয়া করে, যা বাস্তব জীবনের শোক এবং আধ্যাত্মিকতার ছায়া ফুটিয়ে তোলে।

তানভীর জানান, ভিডিওর শুটিংয়ের দিনেই তার প্রিয় নানু মারা যান। এটি তার কাজের আবহনায় গভীর প্রভাব ফেলেছে। তিনি বলেন, “এই ভিডিওটি বানিয়েছি অনুভূতি ধরার জন্য—যা কাগজে লেখা বা কথায় বলা যায় না। যেমন অস্থিরতা, হারানো স্মৃতি, একাকিত্ব এবং মানুষের ভেতরের নীরব চিৎকার।”

ভিডিওটি শুট হয়েছে তার পুরোনো বাড়ির জমিতে, যা বর্তমানে জঙ্গলে পরিণত হয়েছে। এই জায়গাতেই তার শৈশব কেটেছে।

নিজের বিষয়ে তানভীর বলেন, “আমি বাগেরহাটের সন্তান। সাধারণের ভেতর থেকে অসাধারণ কিছু তৈরি করতে চাই। মানুষের হৃদয়ে স্পর্শ করবে এমন সাইকোলজিক্যাল কাজ করার ইচ্ছা আমার তীব্র।” লেখাপড়া করেছেন বাগেরহাট সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এবং বর্তমানে বাগেরহাট সরকারি প্রফুল্ল চন্দ্র কলেজে অধ্যয়নরত।

 

এনএফ৭১/ওতু



বিষয়:


পাঠকের মন্তব্য

মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।

Top